বিধাননগর উত্তর থানায় মহিলা পুলিসকর্মীকে চুলের মুঠি ধরে মার CAA বিক্ষোভকারীদের
দু`পক্ষের মধ্যে চলে হাতাহাতিও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বইমেলায় ধুন্ধুমার হয়েছিল। সন্ধেয় তার রেশ গিয়ে পড়ল বিধাননগর উত্তর থানায়। আটক সহকর্মীদের ছাড়ার দাবিতে থানায় তাণ্ডব চালাল বিক্ষোভকারীর। মহিলা পুলিসকে বাদ দিলেন না তাঁরা। চুলের মুঠি ধরে চলল বেধড়ক মারধর। দু'পক্ষের মধ্যে চলে হাতাহাতিও।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকেলে। জনবার্তা স্টলে পৌঁছন রাহুল সিনহা। স্টলের বাইরে ওই সময় স্লোগান দিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। NRC, CAA বিরোধিতায় পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে কয়েকজন পড়ুয়া। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিজেপির কয়েকজন সমর্থক ধাক্কাধাক্কি করে পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। শুরু হয় উত্তেজনা। দুই আন্দোলনকারী পড়ুয়াকে বিধাননগর পুলিস কন্ট্রোল রুমের সামনে তুলে আনে। তাঁদেরকে ছাড়াতে ততক্ষণে কন্ট্রোল রুমের সামনে হাজির হয়ে যান বহু আন্দোলনকারী। মুহূর্তে শুরু হয়ে যায় অশান্তি। পুলিসের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয় পড়ুয়াদের। তাঁদের দাবি,পুলিস বেধড়ক মারধর করেছে। ২৫-৩০ জনকে আটক করে আনা হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। বিধাননগর উত্তর থানায় আটকদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে চলতে থাকে বিক্ষোভ। সন্ধেয় পুলিসের উপরে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। মহিলা কর্মীদের চুলের মুঠি চলে ধরে কিল, ঘুসি।
বিজেপির কেউ মারমারি করেনি বলেও দাবি করেন রাহুল সিনহা। বলেন,''প্রচার পেতে এসব করছে ওরা।''বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায় বলেন,''গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলের সামনে উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিল বাম পড়ুয়ারা। আন্তর্জাতিক বইমেলাকে কেন রাজনীতির আখড়া তৈরি করছে ওরা? পুলিস প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কিছু হয়নি। আজ ওরা স্টলের ভিতরে ঢুকে পড়তে যাচ্ছিল। গেটে আটকানো হয়।''
আরও পড়ুন- 'ব্র্যান্ড বুদ্ধ' এখনও অক্ষত, বুঝিয়ে দিল বইমেলায় 'স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা'