ওয়েব ডেস্ক : আবেশের মৃত্যু রহস্যের চাবিকাঠি কী এখনও লুকিয়ে সানি পার্কেই?  দফায় দফায় ঘটনাস্থল ঘুরে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছে পুলিস। খোঁজ চলছে নিরপেক্ষ প্রত্যক্ষদর্শীর। মৃত্যুর পর কেটে গেছে চার- চারটে দিন। দুর্ঘটনা না খুন? কাটছে না ধোঁয়াশা। আবেশ মৃত্যু রহস্য জাল কাটাতে পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণকে পাখির চোখ করছেন তদন্তকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখনও কি  আবেশ মৃত্যু রহস্যের চাবি  লুকিয়ে  সেই ৬ সানি পার্কে? সূত্রের খোঁজে দফায় দফায় ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ৬ সানি পার্ক। পূর্ব দিকের এই গেটই আবাসনে ঢোকার রাস্তা। পশ্চিমদিকের গেট ব্যবহার হয় বেরোনোর জন্য।  বাড়ির পিছনে এই জায়গায় লন। সেদিন এখানেই দোলায় বসেছিল আবেশ। কিছুক্ষণ পর লন থেকে একটু দূরে পার্কিংয়ের  কাছাকাছি আবেশকে পড়ে থাকতে দেখে দুই বন্ধু।  তাকে তুলে নিয়ে যায় পার্কিংয়ের দিকে। আর ঠিক এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য। বাড়ির লন থেকে পার্কিং লটের দূরত্ব প্রায় কুড়ি মিটার।


আরও পড়ুন-আবেশ মৃত্যু রহস্য সমাধানে বন্ধুদের স্যোশাল মিডিয়া পোস্টের ওপর নজর পুলিসের


আবেশের ২ প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধু বলছে, সেদিন রক্তাক্ত আবেশকে লন ও পার্কিংয়ে মাঝামাঝি জায়গায় পড়ে থাকতে দেখে তারা। কিন্তু, লন থেকে আবেশ ওই দূরত্ব পর্যন্ত গেল কী করে? তার উত্তর মিলছে না উত্তর খুঁজতেই আজ ফের একবার সানিপার্কে পৌঁছন তদন্তকারীরা। সংগ্রহ করা হয় বাড়ির নকশা। মিসিং লিংঙ্ক জোড়া দিতে আবেশের বন্ধুরা ছাড়া একজন নিরপেক্ষ 


প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। যাঁকে জেরা করে সেদিন লনে আবেশ কী করে রক্তাক্ত হল সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। আবাসনের বাসিন্দা, নিরাপত্তা রক্ষী, গাড়ির চালকের খোঁজ চলছে। সেদিন যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁরা কে কোথায় ছিলেন? যে যেখানে ডিউটিতে ছিলেন সেখান থেকে ঘটনাস্থল কতটা দেখা সম্ভব?


কিন্তু, এখনও এমন কারোর খোঁজ মেলেনি। নিরাপত্তা রক্ষীদের অধিকাংশের দাবি, তাঁরা আবেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই বন্ধুর সঙ্গে পড়ে থাকতে দেখেন।কিন্তু, কীভাবে রক্তাক্ত হল আবেশ সেই  ধন্ধ কাটছে না। বুধবার আবাসনের প্রেসিডেন্ট কিশোর ভিমানিকেও লালবাজারে ডেকে পাঠায় পুলিস। ধন্ধ কাটছে না। কাটছে না ধোঁয়াশা। লন থেকে পার্কিং লটের মুখ পর্যন্ত কী করে পৌছল আবেশ? রক্তাক্ত আবেশকে কেন ওই সময়ে কেউ দেখতে পেল না? বন্ধুদের দফায় দফায় জেরা করে এই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার  চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।