নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০৯। তারপর ২০১১ সাল। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির জয়যাত্রা রুখতে এবার সিপিএম-কংগ্রেসকে জোট বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই জোট বার্তা পেয়ে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের প্রতিক্রিয়া, বিজেপিকে বাংলায় এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুল স্বীকার করলে ভাবব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে গেরুয়া শিবির। ১৮টি আসন পেয়েছে তারা। বেশ কয়েকটি আসনে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। বিজেপির বিপদের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বুধবার বিধানসভার অধিবেশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাজোটের বার্তা দেন। মমতা সঙ্গে কী জোট করবে কংগ্রেস? বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন,''বামপন্থীরা ও কংগ্রেসই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর ১৯৯৮ সালে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার পর ২০০৩ সালে মোদীকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন মমতা। আপনি বিজেপির কোলে জন্ম নিয়েছেন। আগে বলুন, আমি যা করেছি ভুল করেছি, তারপর ভাবব''। 



মান্নানের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি মমতা ভুল স্বীকার করে নিলেন হাত বাড়িয়ে দেবে কংগ্রেস? রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির সঙ্গে জোট করে ভুল করেছেন, এমনটা স্বীকার করা মমতার পক্ষে বেশ কঠিন। সে কারণেই এমন শর্ত দিলেন মান্নান। কিন্তু মমতা যদি ভুল স্বীকার করেন?        


এদিন বিধানসভার অধিবেশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''সিপিএম, কংগ্রেস দেশকে ধ্বংস করবে, আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়া দরকার। বিজেপি ছাড়া বাংলার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি সত্''। তিনি আরও বলেন, “বিজেপি সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে। ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে।” মমতার এমন মন্তব্য জোট বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কটাক্ষ, একার দমে জেতার ক্ষমতা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিই এখন রাজ্যে বৃহত্তম দল। সেটা নিজেই স্বীকার করে নিলেন মমতা। 


মমতার জোট বার্তা প্রত্যাখ্যান করে এদিন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, তৃণমূল ডুবন্ত নৌকো। আমরা সকলে মমতার পাশে দাঁড়াব, এমন দিবাস্বপ্ন দেখবেন না। আসন আপাতত কমলেও বামফ্রন্টের কোনও বিকল্প নেই।   


আরও পড়ুন- পুলিসকর্মীদের জন্য খুশির খবর, খুব তাড়াতাড়ি বাড়ছে বেতন