Kunal Ghosh: `অভিজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায়ের টার্গেট অভিষেক`, বেনজির সংঘাতে হাইকোর্ট-তৃণমূল
ব্যক্তিগত প্রচারের লোভে অভিষেককে আক্রমণ করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিন সারসরি বিচারপিকে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। বিচারের বাইরে কখনও তাঁর নিজের প্রচার বা ব্যক্তিগত উইশলিস্ট চাপিয়ে দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার ওনার নেই। উনি আত্মতৃপ্তি ও আত্মপ্রচারের জন্য এই কাজগুলি করে যাচ্ছেন। তদন্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করে ফের বিচারপতিকে নিশানা তৃণমূলের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'অভিষেকের ভাষণ থেকে ক্লু পেয়েছেন'? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্র ধরে এবার সিবিআই ও ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত'। বিচারপতির এই মন্তব্যের পরই কার্যত তৃণমূল-হাইকোর্ট সংঘাতে শুরু। সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ সরাসরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। কুণাল বলেন, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টার্গেট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'
আরও পড়ুন, TET: টেট মামলায় বড় রায়! প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ
তদন্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করে ফের বিচারপতিকে নিশানা করে তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য, 'রিট কোর্টের কোনও এক্তিয়ার নেই বিচারের বাইরে কখনও তাঁর নিজের প্রচার বা ব্যক্তিগত উইশলিস্ট চাপিয়ে দেওয়ার। উনি আত্মতৃপ্তি ও আত্মপ্রচারের জন্য এই কাজগুলি করে যাচ্ছেন। বিচারব্যবস্থার বহু সমালোচনা অতীতে হয়েছে আর উনি হুমকি দিচ্ছেন। বিচারপতির কথার সঙ্গে আইনের সম্পর্ক নেই। যেভাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তদন্ত নিয়ে বলার কোনও অধিকার নেই। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টার্গেট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতির চেয়ারকে অপমান করবেন না, প্রয়োজনে টুলে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করুন।'
কুণাল আরও বলেন, 'বিচারপতির চেয়ারের অপমান করবেন না। কী ইমেজ তৈরি করতে চান অভিষেকের? কী ভাবছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি? যে বিচারপতির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না। বলছেও তো না। উনি আজ যা বলেছেন তা এক্তিয়ার বর্হিভূত। ওনার ক্ষমতা নেই এটা অর্ডারশিটে লেখার। বিরোধীদের মধ্যে হিরো হওয়ার চেষ্টা করছেন। উনি রাজনৈতিক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছেন।যেহেতু আপনার চেয়ার আছে তাই আবোল তাবোল কথা বলে যাবেন।বাকি জজরা জজ নয়, আপনি কি ব্যতিক্রন নাকি?'
৬ এপ্রিল ধৃতকে যখন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়, তখন বিচারক একটি চিঠি দেন কুন্তল। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা'। বিচারপতিকে কেন চিঠি? পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। এদিন কুণাল ঘোষ সরাসরি বিচারপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, 'একজন বন্দীর অধিকার আছে বিচারপতিকে চিঠি লেখার। দোষীদের অধিকার নিয়ে উনি ছেলেখেলা করছেন। বিচারপতি এক্তিয়ার বর্হিভূত কার করছেন। ঠান্ডা মাথায় অভিষেকের চরিত্রহনন করার চেষ্টা করছেন।'
আরও পড়ুন, Haridevpur Incident: কলকাতার বুকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ যুবককে, আর্তি শুনেও এল না কেউ!