Abhishek Banerjee: বিজেপির জমিদারদের কাছে বিচার চাই: অভিষেক
১০০ দিনের কাজের বকেয়া-সহ অন্যান্য বহু প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগ তুলে গত ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লির যন্তরমন্তর ও রাজঘাটে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজভবনের সামনে ধরনার কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার রাজভবনের বাইরে সারারাত কাটান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে দেখা করে তবেই তাঁরা ধরনামঞ্চ ছাড়বেন। এই কর্মসূচিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির সব নেতা-মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া-সহ অন্যান্য বহু প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগ তুলে গত ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লির যন্তরমন্তর ও রাজঘাটে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজভবনের সামনে ধরনার কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Kamduni: কামদুনিকাণ্ডে 'লঘু দণ্ড', সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে CID
এর মধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে চলে যান। এরপরেও বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার রাস্তায় তাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। রবীন্দ্রসদন থেকে মিছিল করে রাজভবনে পৌঁছন দলের কর্মী-সমর্থকরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে একেবারেই সামনে সারিতেই ছিলেন অভিষেক। প্ল্য়াকার্ডে লেখা, 'লাঠি খাই, গুলি খাই। ২০ লক্ষ গবিরের ন্যায্য দাবিতে আদায়ে তৃণমূল কংগ্রেস লড়ছে লড়বে'।
আরও পড়ুন: Governor CV Ananda Bose: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় হার রাজ্যপালের, কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট?
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে লেখেন, ‘দিল্লিতে আওয়াজ তোলার পর আমরা বিজেপির জমিদারদের কাছে বিচার চাই! গণতন্ত্রের স্বঘোষিত রক্ষকদের জনগণকে জবাব দিতে আর কতদিন লাগবে? আর কতদিন জনগণের কাছ থেকে পালাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? সময় এগোচ্ছে, অপেক্ষায় আছে বাংলা।’
'ঘেরাও নয়, ঘর আও', পাল্টা বিবৃতি দেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, 'রাজ্যপাল তিনি জমির মানে মাটি মাটির কাছাকাছি গিয়েছিলেন সেটা কখনই জমিদারি নয়। জমির কাছাকাছি না গিয়ে শহরের রাজপ্রাসাদ থেকে বন্যা কন্ট্রোল করা সেটা হচ্ছে নিউ জমিদারি'।
রাজ্যপালের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'গ্রাম বাংলায় যাওয়া মানে হচ্ছে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া। যাকে বাংলায় বলে তৃণমূল। তাহলে কি তৃণমূল অন্যদের তৃণমূল থেকে দূরে রাখতে চায়'?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)