নিজস্ব প্রতিবেদন:  “কার বাড়ির ফ্রিজে কী রয়েছে, তা ওরা জেনে যায়! অথচ কাশ্মীরে ৩৫০ কেজি আরডিএক্স ডুকে গেল, তা ওরা জানল না?”   কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি বলেন, “আমরা স্তম্ভিত, যাঁরা দেশ রক্ষা করেন, তাঁদের কেন্দ্র বাঁচাতে পারে না।” প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে  তিনি বলেন, “নোটবাতিলের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, জঙ্গি হানা বন্ধ হবে। কোথায় কী হল? চার দিন আগেই জঙ্গি হানা হল। ওরা ইডি, সিবিআই নিয়ে এত মাথা না ঘামিয়ে, সেনা দেখলে এই ঘটনা ঘটত  না। ”


এরপরই তিনি বলেন, “কার বাড়ির ফ্রিজে কী রয়েছে, তা ওরা জেনে যায়! অথচ কাশ্মীরে ৩৫০ কেজি আরডিএক্স ডুকে গেল, তা ওরা জানল না?”   নিজের ছেলে হলে, ভবিষ্যতে তিনি তাকে সেনাবাহিনীতেই পাঠাবেন বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় হামলার পর BJP, RSS দেশে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে: মুখ্যমন্ত্রী


অন্যদিকে, বিজেপি, আরএসএস-কে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ““আরসএস, ভিএসপি, বিজেপি  সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।  বেহালা, বনগাঁ ও শ্রীরামপুরে এরকম হামলা হয়েছে। ”


পুলিসকে এবিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে চলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পুলিসকে বলেছি , কোথাও এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করতে।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের  কোনও ধর্ম হয় না, সন্ত্রাসবাদীদের কোনও জাত নেই, রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই।”


আরও পড়ুন: কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত অভিজিত্ পুণ্ডারি


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভোট আসতেই হাওয়ায় যুদ্ধ যুদ্ধ কথা ভাসছে।  আরএসএস, ভিএসপি ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।  কোথা থেকে মদত পাচ্ছে ওরা। রাত ১২-১ টার মধ্যে কিছু বিজেপি, আরএসএস-এর লোক পতাকা হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। তারাই আতঙ্কটা তৈরি করছে।” তাঁর অভিযোগ,  “প্ররোচনা দিয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ক্ষমা করবে না। রাজনীতির নামে দাঙ্গা বরদাস্ত করা হবে না।”


পুলওয়ামার ঘটনায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ,  “আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও কেন বাহিনীকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি?” তাঁর প্রশ্ন,  “সিআরপিএফের কাছ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল, জওয়ানদের এয়ারলিফ্ট করা হোক, কেন করা হল না? এত টাকা তো খরচ হয়! আগাম সতর্কতা তো ছিল,  আকাশপথে কেন জওয়ানদের সরানো হয় নি?  এতবড় ব্যর্থতা কীভাবে ঘটল? এটা নিয়ে  উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন ছিল না কি? ” পুলওয়ামার ঘটনার পর কেন্দ্রের কাছে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।