Dilip Ghosh: `জঙ্গলমহলে গিয়ে লাভ হয়নি`, নন্দীগ্রামে কেন যাচ্ছেন অভিষেক, খোলসা করলেন দিলীপ
Dilip Ghosh:যেকোনো জায়গায় বিস্ফোরণ হতে পারে। তার জন্য সবাই যেন মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন। কোথায় বোমা রাখা? কোথায় তৈরি হয়, কেউ জানে না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, কাল কেউ মারা যায়নি
অয়ন ঘোষাল: নন্দীগ্রামে তাঁর কর্মসূচি, জন সংযোগ যাত্রা নিয়ে অভিষেককে বিঁধলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু বলেন, রাজনীতি ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার জায়গা নয়। রাজ্যবাসীর এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। তাদের এসবে কিছু যায় আসে না। গোটা তৃণমূল পার্টি যদি জেলে ঢুকে যায়, তাতেও কী-ই বা যায় আসে? মানুষকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করার কাজ বিজেপি চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- নবজোয়ারে এবার 'নন্দীগ্রাম চলো', ২০ কিমি হেঁটে শুভেন্দুর কেন্দ্রে অভিষেক!
গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে সতর্ক করে দেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। বলেন, বিচারবিভাগ নিরপেক্ষ হলে এক মাসের মধ্যে জেলে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি যাওয়ার একমাসের মধ্যে জেলে ঢুকবেন তিনি। যে এজেন্সি নিয় আজ উনি গর্ব বোধ করেন শুভেন্দু অধিকারী কাল সেই এজেন্সিই তাঁকে গ্রেফতার করবে। অভিষেকের ওই কথা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, রাজনীতিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করাই ভালো। এখানে প্রতিহিংসার কোনও জায়গা নেই
আজ পায়ে হেঁটে নন্দীগ্রামে অভিষেক
এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, নন্দীগ্রামের জন্য তৃণমূল কিছু করেনি। যারা করেছে, তারা জিতেছে। কারণ তাদের সঙ্গে মানুষ আছে। উনি যাচ্ছেন পুরনো এলাকা উদ্ধার করতে। জঙ্গলমহলে গেছিলেন। লাভ হয়নি। সিঙ্গুরের মানুষ পাশ থেকে সরে যাচ্ছে। ওদের ভাবা উচিৎ। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ওরা এসেছিলেন, তা কতটা করতে পেরেছেন। হাজার হাজার পুলিস নিয়ে রোড শো করে কোনো লাভ হবে না।
কাকুই আসল কিং পিন
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন 'কালীঘাটের কাকু'। দিলীপ ঘোষ বলেন, এরকম বহু মানুষ আছেন, যারা এখানে যুক্ত। তাদের ভুমিকা কী ছিল সেটা খুঁজে দেখছে ইডি-সিবিআই। এই ধরনের লোককে জেরা করলে বোঝা যাবে, তারাই আসল দোষী? তাদের কতটা ভুমিকা ছিল। আরও অনেক লোককে ডাকার দরকার আছে।
কুস্তিগিরদের সমর্থনে পথে মমতা
দিলীপ ঘোষের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর কোনও ইস্যু নেই। পার্টিকে বাঁচানোর আর রাস্তা নেই। নেতাদের বাঁচানোর রাস্তা নেই। তাই খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। হরিয়ানার লোক দিল্লিতে আন্দোলন করছে। ইস্যু খেলাধুলা। এ রাজ্যে খেলাধুলা উঠে গেছে। এখানে জুয়া তাস আর লটারি ছাড়া কোনও খেলাধুলা নেই। তার নিজের বাড়ির লোকেরা খেলাধুলার সংস্থাগুলো কব্জা করে রেখেছে। যারা জীবনে তাস ছাড়া কিছু খেলেনি তারা আজ রাজ্যে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। আগে বাংলার খেলাধুলার জন্য কিছু করুন। প্লেয়াররা বাংলা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ঋদ্ধিমান সাহা আই পি এলে দুর্দান্ত খেলেছে। সে বাংলায় সুযোগ পায়নি। কে কে আরেও সুযোগ পায়নি। সে এখন ত্রিপুরায় খেলে। এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে? সেটা আগে ভাবুন। আর কুস্তিগিরদের লড়াই ফলস। তারা রাজনীতিকদের হাতের পুতুল হয়ে গেছে। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে সব মিথ্যে। খেলোয়াড়রা বড় মনের মানুষ। তারা নিজেদের খেলাধুলায় নিমজ্জিত রাখুন।
অভিষেকের দেহরক্ষীর ধাক্কা অখিল গিরিকে
আমাদের লজ্জা হয়, যারা নিজেদের মেদিনীপুরের নেতা ভাবে, তাদেরকে কেউ নেতা মনেই করে না। এরা তো এক্সট্রা প্লেয়ার। কর্মচারি। কেন গেছে রাজার কাছে? ধাক্কা খেতে গেছে? এদের কে কি ও মানুষ বলে মনে করে? দয়া করে দলে চাকরি দিয়েছে। করে খাও। কামাও। নেতা হতে যেও না।
নদিয়ার চাপড়ায় বিস্ফোরণ
যেকোনো জায়গায় বিস্ফোরণ হতে পারে। তার জন্য সবাই যেন মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন। কোথায় বোমা রাখা? কোথায় তৈরি হয়, কেউ জানে না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, কাল কেউ মারা যায়নি। এই ঘটনার প্রতি পুলিসের সতর্ক হওয়া উচিত। জঙ্গলমহল থেকে পুলিস এনে খোকাবাবুকে গার্ড করা হচ্ছে। আর মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই।
নবজোয়ারে দৈনিক ২৫০০ পুলিস
ওটা তো পুলিসের জোয়ার। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবে না এটা সবাই বুঝে গেছে। এই সরকার সে ব্যাপারে অসহায়। মমতা নিজেও আর ওসব নিয়ে ভাবেন না। সরকার বাঁচিয়ে রাখাই মূল লক্ষ্য। লোকেরাও বুঝে গেছে, লুটেপুটে নাও। বেশিদিন আর চলবে না। যত তাড়াতাড়ি এই সরকার চলে যায়, বাংলার পক্ষে ততই ভালো।
নবজোয়ারে বিশৃঙখলা
আমরা দেখছি, উনি গাড়ির থেকে সবাইকে ধমক দিচ্ছেন। এভাবে কতদিন চলবে। পার্টি তো লুঠের রাজত্ব। সেই জন্য সবাই পার্টি করছে। পদ পেয়ে গেলে লুটে খাও। টিকিট পেয়ে গেলে লুটে খাও। সেইজন্য এই মারামারি। আপনারা তো তাদের খুল্লা ছুট দিয়েছেন। জিতিযে দাও। তারপর লুটেপুটে খাও। নিজেদের বাঁচার জন্য সবাই ব্যস্ত।