প্রবীর চক্রবর্তী: নতুন তৃণমূল! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামে 'নতুন তৃণমূলে'র পোস্টার! পোস্টারে লেখা, 'আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল... ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।' আর পোস্টারের আরেকদিকে অভিষেকের বক্তৃতা দেওয়ার ছবি। দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গায় এই পোস্টার পড়েছে। পোস্টার পড়েছে ভবানীপুর, হাজরা, কালীঘাটে। স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টার ঘিরে উস্কে উঠেছে জল্পনা। দেখা দিয়েছে বিতর্ক। সুযোগ বুঝে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যেমন তির্যক প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, 'এখন যে তৃণমূল চলছে, সেটা তাহলে কোন তৃণমূল?' ওদিকে সিপিআইএম-এর কটাক্ষ, 'যাত্রা পার্টির পোস্টার।' এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কী বলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত,  'আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল', এই স্লোগানের সূচনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। ১২ জুলাই ধূপগুড়ির সমাবেশ থেকে ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সমাবেশ, এমনকি ২৮ জুলাই তৃণমূল ভবনে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বার বার বলেছেন যে, 'আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল তৈরি হবে। যে তৃণমূলকে মানুষ দেখতে চান।' কেমন সেই নতুন তৃণমূল? যার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অভিষেক। এক, আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। দুই, জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি করে মানুষের কথা শুনতে হবে। তিন, আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। চার, তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে যে বার বার অভিযোগের আঙুল উঠছে, তা যাতে ভবিষ্যতে আর না ওঠে, তা নিশ্চিত করতে হবে। 


আরও পড়ুন, Anubrata Mondal Daughter: বাড়ি গিয়ে নোটিস সিবিআইয়ের, কথা বলার অবস্থায় নেই জানালেন 'বিপর্যস্ত' কেষ্ট-কন্যা


এরপরই বুধবার দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামে 'নতুন তৃণমূলে'র পোস্টার পড়তে দেখা গেল। এখন পোস্টার দিয়েছে 'আশ্রিতা' ও 'কলরব নামে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। দক্ষিণ কলকাতার এক তৃণমূল নেতা আবার এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টার-হোর্ডিং রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। জোর চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়েছে যে, এটা দলের কোনও ঘোষিত কর্মসূচি নয়। দলের তরফে দেওয়া পোস্টারও নয়। দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যেমন বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সেনাপতিত্বে এক ও অভিন্ন তৃণমূল কংগ্রেস সিনিয়র-জুনিয়র সবাইকে নিয়ে চলছে। অভিষেকের উদ্ধৃতিগুলো তুলেই কেউ হোর্ডিং দিয়েছে। দলকে ভালোবাসেন, তাই দিয়েছেন। বিরোধীরা যে আঙ্গিকে এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে চর্চা করছে, তার থেকে সরে এসে আলোচনা করা-ই ভালো।'


যদিও এত সহজে এই  ইস্যুকে ছাড়তে রাজি নয় বিরোধীরা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ যেমন এই পোস্টারের পিছনে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের 'শেষ' দেখতে শুরু করে দিয়েছেন! তিনি মন্তব্য করেন, 'সিপিএমের আমলেও নতুন সিপিএম স্লোগান দিয়ে বুদ্ধবাবু জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তারপরই পার্টিটা উঠে গেল!' রাজনৈতিক মহলের একাংশ যেমন মনে করছে, এর পিছনে বিজেপির কোনও অভিসন্ধি নেই তো? যে স্টাইলে একনাথ শিন্ডেকে পালে টেনে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলে ক্ষমতায় এল বিজেপি, বাংলাতেও কি সেই ছক কষছে গেরুয়া শিবির? প্রশ্ন অনেক, জল্পনা অনেক। উত্তর কেবল সময়ের হাতে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)