জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজভবনের বাইরে টানা ৪ দিন ধর্নায় বসে থাকার পরও গতকাল অভিষেকদের পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে দক্ষিণ গেট দিয়েই রাজভবনে ঢুকে পড়েন সি ভি আনন্দ বোস। তবে একটু রাতেই তিনি জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি। আজ বিকেলেই মুখোমুখি হচ্ছেন অভিষেক-বোস। সেই সাক্ষাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-একশো দিনের কাজে ১০ হাজার টাকা বকেয়া হলে এখন কত পাওয়া উচিত, হিসেব কষে বললেন অভিষেক


সোমবার বিকেল ৪টেয় অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার আগে সোশ্য়াল মিডিয়ায় অভিষেক লিখেছেন, রাজভবনের সামনে আমাদের শান্তিপূর্ণ ধর্না পঞ্চম দিনে পড়ল। আমাদের মধ্যে সেই উত্সাহ ও উদ্দীপনাই রয়েছে। বাংলার মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাব। গতাকাল রাজ্যপাল শেষপর্যন্ত আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত করতে রাজি হয়েছেন। ওই সাক্ষাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আশাকরি বাংলার মানুষের দাবি রাজ্যপাল আগ্রহ সহাকারে শুনবেন। বাংলার নিরাপরাধ মানুষের স্বার্থের বিনিময়ে রাজনীতি করছে বিজেপির জমিদাররা। কিন্তু বাংলা চুপ করে থাকবে না। আমাদের অধিকার আদায় না করা পর্যন্ত আমরা থামব না।


উল্লেখ্য, রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে কৃষি ভবনে দরবার করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা। সেই ধর্নাকে পুলিস দিয়ে জোর করে তুলে দেওয়া হয়। তারপরেই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে রাজভবনের সমনে ধর্নায় বসে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বকেয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বলার পাশাপাশি সেই বকেয়া যে আটকে রাখা যায় না তা আইনের বই দেখিয়ে বুঝিয়ে দেন।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাল পর্যন্ত আমি আপনাদের বলেছিলাম মজুরি বাবদ কেন্দ্রের সরকার ৩৮০০ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। অনেকদিন এনিয়ে কথা বলছি। আজ এনিয়ে আইনটা দেখালাম। দিল্লিতে গিয়ে আমি বলে ফেলেছিলাম, কেন্দ্রের উচিত সুদ-সহ টাকা ফেরত দেওয়া। একশো দিনের কাজের যে আইন রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, মজুরি যদি কাজের মাস্টার রোল বন্ধের ১৫ দিনের মধ্যে না মেটানো হয় তাহলে একশো দিনের কাজের মজুরকে ওই টাকা মেটানোর দেরির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এক্ষেত্র রোজ সুদ দিতে হবে ০.০৫ শতাংশ। অর্থাত্ ১৫ দিনের মধ্য যদি কেন্দ্র টাকা না ছাড়ে তাহলে ১৬ দিন থেকে কেন্দ্রকে ০.০৫ শতাংশ সুদ দিতে হবে। ২ বছর হয়ে গেল টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। যার ১০ হাজার টাকা বাকী রয়েছে তাকে ২ বছরের সুদ হিসেবে আরও ৩৬৫০ টাকা কেন্দ্রকে দিতে হবে। যারা ১২ হাজার টাকা পাওনা তার পাওনা ১৬৩৮০ টাকা। এটা আইন বলছে। এবার তো চিঠিতে রাজ্যপালকে এও লিখতে হবে। কেন্দ্রকে কেউ এতদিন ধরেনি তাই ভেবেছিলেন পার পেয়ে যাবেন। বাংলার টাকা কারও বাপের সম্পত্তি নয়। বিজেপি নেতারা আজ এর বাড়িতে সিবিআই পাঠাচ্ছে তো ওর বাড়িতে ইডি পাঠাচ্ছে। যাদের বাড়িতে সকালে সিবিআই যাচ্ছে সে সন্ধেয় ধর্না মঞ্চে চলে আসছে। এর নাম তৃণমূল কংগ্রেস। মদন মিত্রর কী অভিজ্ঞতা সেটা তিনি বললেন। আগামিকাল ফিরহাদ হাকিম আসছেন, বলবেন। আমাদের গলা কেটে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বের হবে।    


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)