Exclusive: রাজনীতিতেও অবসরের বয়স থাকা প্রয়োজন, ` নিয়ম বদলের সুর` অভিষেকের গলায়!
রাজনীতিতে কোনও পূর্ণচ্ছেদ নেই, দেশের একটা বড় রাজনৈতিক অংশ যখন একথা ভাবছে সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে `অবসর তত্ত্বে` আস্থা অভিষেকের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যুব সভাপতি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, ঘাসফুল শিবিরের 'মুখ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও তৃণমূলের 'যুব মুখ' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা, ত্রিপুরায় যুব শক্তির মাধ্যমে সবুজ গড় গড়ার লক্ষ্য নিয়েছেন অভিষেক। দলের ভবিষ্যত তৈরি করতে পুরনো ভাবনা নিয়ে 'নতুন আগামী'-র নীতিতে বিশ্বাসী নন তিনি। রাজনীতিতে কোনও পূর্ণচ্ছেদ নেই, দেশের একটা বড় রাজনৈতিক অংশ যখন একথা ভাবছে সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে 'অবসর তত্ত্বে' আস্থা অভিষেকের।
রাজনীতির ক্ষেত্রে অনেক কিছু বদলের প্রয়োজন বলে মনে করেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ''একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া উচিৎ। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি করে করি রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা সময়সীমা থাকা দরকার। ষাট-পঁয়ষট্টি কিংবা সত্তর-পঁচাত্তর হোক, এর উপরে রাজনীতি করা উচিত নয়। মানুষ ষাট বছরে অবসর নেয়। সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে মানুষ এর বেশি কাজ করে না। রাজনীতিও সেরকমভাবেই করা দরকার।''
আরও পড়ুন, Exclusive: 'রাজনীতির ধরন বদলেছে, সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে', অকপট অভিষেক
অভিষেকের কথায়, ''শুধুমাত্র বাংলার নিরিখে আমি এই কথা বলিনি। কিন্তু আমাদের দেশে কী হয়? যতক্ষণ না কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন বা দুর্বল হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ছেন, ততক্ষণ তিনিই সাংসদ, তিনিই বিধায়ক। এর একটা সুষ্ঠু সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ইউ কান্ট থিঙ্ক অফ অ্যা নিউ টুমরো উইথ ইয়েসটারডেজ আইডিয়াজ।''
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ''বেসরকারি ক্ষেত্রে তো মানুষ ৫০-৬৫ বছরের মধ্যে অবসর নেন। আমাদেরও এই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি গ্রহণ করতে হবে। এদেশে যখন কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর নেওয়ার সময় হয় তখন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সেটা নতুন অধ্যায় শুরু করার বয়স। ৬০ মানুষ রাজনীতিতে যোগ দেয়। এটা বদলানো দরকার।''
তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কতটা জল্পনার সৃষ্টি করবে তা এখনই স্পষ্ট করা না গেলেও নবীন-প্রবীণের মতানৈক্য বর্তমান রাজনীতিতে যে বারবার বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করছে তার ধারণা মিলল আরও একবার। অনেকের মতে, তারুণ্যে ভরসা রেখে অভিষেকের ভোট স্ট্র্যাটেজি তার প্রমাণ।