নিজস্ব প্রতিবেদন: আনন্দপুরকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডেকে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ও অভিষেকের এক বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার সময়েই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিষেককে। গ্রেফতারে সাহায্য করেছে নির্যাতিতার বয়ানই। পুলিস সূত্রে খবর, কেসের গভীরতা দেখে তদন্তে হাত লাগায় লালবাজার। টানা জিজ্ঞাসাবাদ থেকে অভিযুক্তের খোঁজে আনন্দপুর থানাকে সাহায্য করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সকাল থেকেই যৌথভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ক্য়ালকাটা ন্যাশনাল স্কুলের এর সামনে একটি প্রাইভেট গাড়িতে যাওয়ার সময়ে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। গাড়িতে করে সায়েন্সসিটির দিকে এক বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিল সে। তখনই গাড়ি-সহ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা দেখা হচ্ছে।  তাঁকে কেউ পালাতে সাহায্য করেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


পুলিস জানিয়েছে, কলকাতার একাধিক জায়গায় গা  ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। এরপর মোবাইল টাওয়ার ট্রেস করা হয় অভিযুক্তের পাশাপাশি অভিষেকের মাকেও লালবাজারে টানা জেরায় ধীরে ধীরে হদিস মিলতে থাকে অভিযুক্তের। শেষমেষ টানা তিনদিন তদন্তের পর মঙ্গলবার রাতে পাকড়াও করা হয় অভিষেক পাণ্ডেকে। 


আরও পড়ুন: পুরসভার 'বিপজ্জনক' নোটিসেও বেপরোয়া, চারতলার বারান্দা ভেঙে মৃত্যু কিশোরের


সোমবার অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আটক করা হয় গাড়ি। তদন্তে উঠে আসে নয়া তথ্য। জানা যায়, অমিতাভ বসু নয়,আনন্দপুরকাণ্ডের অভিযুক্তের আসল নাম অভিষেক তিনি পূর্ব যাদবপুরের বাসিন্দা। পাশাপাশি এও সামনে আসে যে নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত পূর্বপরিচিত। ৫ বছরের পরিচয় লুকিয়ে কোন উদ্দেশ্যে পুলিসকে বিভ্রান্ত করেছিলেন নির্যাতিতা তা নিয়ে সোমবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ আনন্দপুরকাণ্ডের নির্যাতিতাকে। 


প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, বছর তিনেক আগে অভিষেক পান্ডের বিয়ে হয়েছিল। দু-এক বছর সংসারও করেছিল। কিন্তু তারপর ডিভোর্স হয়ে যায়। স্ত্রীর ওপর তিনি নানাভাবে অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। যখন তখন বিভিন্ন মহিলাকে ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন অভিষেক। ডিভোর্সের আগে থেকেই নির্যাতিতার সঙ্গে আলাপ ছিল তাঁর। ছেলে যে দোষী তা জেরায় স্বীকার করে নেন অভিযুক্তের মা-ও। সব মিলিয়ে দফায় দফায় জেরার পরই দোষীকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিস।