নিজস্ব প্রতিবেদন : নার্সিংহোমের যোগসাজশে অ্যাম্বুল্যান্সে ভুয়ো ডাক্তার। তার জেরে প্রাণ গেল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। ঘটনাটি পূর্ব যাদবপুরের। অভিযোগ, ডাক্তার হিসেবে অ্যাম্বুল্যান্সে যিনি ছিলেন, তিনি আদতে এসি মেকানিক। অক্সিজেন সিলিন্ডারের নলটুকু পর্যন্ত খুলতে জানেন না। মৃতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভুয়ো ডাক্তার ও অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বীরভূমের নলহাটির নসিপুর গ্রামের বাসিন্দা অরিজিত্ দাস। মাধ্যমিকে তিনটি পরীক্ষা দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে অরিজিত্। জ্বর ও কোমরে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় বর্ধমানের অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কলকাতায় চিকিত্‍সা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার।


আরও পড়ুন, চামড়ার বিরল জটিলতা নিয়ে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে জন্ম শিশুর, পরে মৃত্যু


অভিযোগ, অন্নপূর্ণা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ প্রথমে অরিজিতকে রিলিজ দিতে চায়নি। পরিবার চাপাচাপি করায় রোগীকে রিলিজ করে তারা। কলকাতা নিয়ে আসার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ঠিক করে দেয় অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমই। পথে পরিচর্যার জন্য সঙ্গে একজন 'ডাক্তার'ও দিয়ে দেয় তারা। অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া ও ডাক্তারের ফি বাবদ ধার্য করা হয় ১৬ হাজার টাকা। তার মধ্যে ৮ হাজার টাকা শুধু পথে ডাক্তারের খরচ।


আরও পড়ুন, চিকিত্সক নিজেই মনোরোগী! ভুল চিকিত্সার ভয়ে আত্মহত্যা


কিন্তু পরে দেখা গেল, সেই ডাক্তার ভুয়ো। ডাক্তার সেজে অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন একজন এসি মেকানিক। এই ঘটনায় অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।