নিজস্ব প্রতিবেদন: “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, যতখানি দায় ডাক্তারদের ওপর চাপানো হচ্ছে রোগীদের কষ্টের জন্য, ততখানি দায় রয়েছে প্রশাসনেরও। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, আপনি ওদের সঙ্গে এসে কথা বলুন। আপনি শুধু রোগীদের মুখ্যমন্ত্রী নন, ডাক্তারদেরও মুখ্যমন্ত্রী।” NRS-এ গিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিত্সকদের পাশে দাঁড়িয়ে  বললেন অভিনেত্রী ও   চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন। সঙ্গে রয়েছেন কৌশিক সেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অপর্ণা সেন আবেদন করেন, “ডাক্তারদের জীবন বিপন্ন। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমার অনুরোধ, আপনি এসে একবার কথা বলুন। আপনি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে পাঠালেন, কিন্তু উনি তো পূর্ণমন্ত্রী নন। আপনি নিজে এসে একবার কথা বলুন, হাতজোড় করে অনুরোধ করছি। আপনি ওঁদের অভিভাবক, ওঁদের সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা করুন। খুব ভালো ছাত্রছাত্রী না হলে, ডাক্তার হওয়া যায় না। ওরা যদি চলে যায়, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে ভালো হবে?”


মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহমর্মিতা আশা করেছিলাম, ওঁর কথায় মনে হল আমরাই দোষী”, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বললেন চিকিত্সকরা


তিনি আরও বলেন, “আমি জানি রোগীরা বাইরে দাঁড়িয়ে যেভাবে অপেক্ষা করছেন, তাতে ওঁদের কষ্টের পাশাপাশি জুনিয়র চিকিত্সকদেরও কষ্ট হচ্ছে। ওঁরা তো ডাক্তার। কিন্তু ওঁদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে ভাবতে হবে।”


গতকালই SSKM-এ গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  সেখানে জুনিয়র চিকিত্সকদের উদ্দেশে বেশ কিছু বিস্ফোরক কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এরা ডাক্তার! কী ভেবেছে কী ওরা? অনেকে নাটক করছে। যার নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাদের বুদ্ধিতে কাজ করছে ওরা? ডাক্তারিতে হিন্দু মুসলমান হয় না।”  জুনিয়র চিকিত্সকদের  হোস্টেল খালি করার নির্দেশ দেন তিনি। চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ‘এসমা’ জারি করার হঁশিয়ারি দেন তিনি। যদিও তার পরিবর্তে গণইস্তফা দেওয়ার ডাক দেন চিকিত্সকরা। ইতিমধ্যেই সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন চিকিত্সক ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্যের আন্দোলনের আঁচ পড়েছে ভিন রাজ্যেও।