নিজস্ব প্রতিবেদন: Murder to ensure Majority!  ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda Councillor Murder) বিস্ফোরক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhuri )। জি ২৪ ঘণ্টার 'আপনার রায়' অনুষ্ঠানে বললেন, 'একজন মানুষকে মেরে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য পুলিস ও তৃণমূলে আঁতাত দেখলাম'। সরাসরি নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুরুলিয়া ঝালদা পুরসভা এবার ত্রিশঙ্কু। ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসে টিকিটে জিতেছিলেন তপন কান্দু। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরকে কারা খুন করল? ম্যারাথন জেরার পর নিহতের ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুরভোটে কাকার বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এমনকী, ধৃতের বাবা-ও এই খুনের সঙ্গে জড়িত কিনা,তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিস সুপার।


আরও পড়ুন: Covid Restriction: হোলি উপলক্ষে নাইট কার্ফুতে ছাড়, রাজ্যে বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ


এদিন লোকসভার ঝালদাকাণ্ডে সরব হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, সাংসদ অধীর চৌধুরী।  আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন তিনি। টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান সোনিয়া গান্ধীও। জি ২৪ ঘণ্টার 'আপনার রায়' অনুষ্ঠানে অধীর বলেন, 'পুরুলিয়ার একটি ছোট পুরসভা ঝালদা। সেখানে ওয়ার্ড মাত্র ১২। ৫-৫-২ রেজাল্ট হয়েছে। ৫ কংগ্রেস, ৫ তৃণমূল আর ২ নির্দল। বোর্ড গঠন করতে দরকার ৭ জন'। তাঁর অভিযোগ, 'জেতার পর থেকেই ফোনে পুলিস অফিসার নিজের ফোন করে তপন কান্দুকে হুমকি দেয়। বলে তৃণমূল করতে হবে, না হলে বিপদ আছে।  তপন কান্দু বলে, কংগ্রেস করতে গিয়ে শহিদ হতে পারে। কিন্তু দল পাল্টাতে পারব না'।



স্রেফ তৃণমূলকেই নয়, ঝালদাকাণ্ডে চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর আক্ষেপ, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন ভোট শান্তিপূর্ণ হবে। আমি আস্থা রেখেছিলাম যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পাল্টে গিয়েছেন। কিন্তু কয়লাকে যেমন ধুলেও রঙ যায় না, তেমনি শতচেষ্টা করেও নিজের স্বভাব পাল্টাতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা বাংলা তো দিদির দখলে, একটি ছোট পুরসভা যদি এদিক-ওদিক হয়ে যেত, তাহলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না, দিদির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না'।


 



ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে পুলিস সুপারকে চিঠি দিয়েছেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, পুরনির্বাচন ঘোষণার পর থেকে নাকি তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য দিচ্ছিলেন আইসি! এমনকী, এই অভিযোগের সপক্ষে একটি অডিয়ো ক্লিপও প্রকাশ করেছেন নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দু। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)