নিজস্ব প্রতিবেদন: আইএসএফের (ISF) সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের (Congress) কোনও আলোচনা হয়নি। জোটের জটে নতুন মোড় দিলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি Zee ২৪ ঘণ্টাকে বলেন,'বামপন্থীরা নেমন্তন্ন করেছিল তাই গিয়েছিলাম। আইএসএফের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়নি।'  
   
এ দিন ব্রিগেডে 'সংযুক্ত মোর্চা'র সমাবেশে তাল কাটল জোটের। আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui) মঞ্চে ওঠার সঙ্গে তাঁর সমর্থকরা 'ভাইজান' স্লোগান দিতে থাকেন। অধীর চৌধুরী মাঝপথে ভাষণ থামিয়ে দিতে উদ্যত হন। তাঁকে বিরত করেন বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিম। তারপর মঞ্চে অধীরের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসকে খোঁচা দেন সিদ্দিকি। বলেন,'অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বাম শরিক দলের কথা বললেন। আপনি কংগ্রেসের বেলায় বললেন না কেন? স্পষ্ট জানিয়ে দিই, ভাগীদারি করতে এসেছি, তোষণ করতে আসিনি। ভাগীদারি চাই। আদিবাসী, ওবিসি ও মুসলিমদের হক বুঝে নিতে হবে। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে দরজা খোলা আছে।'   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপর ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ সিং বাঘেলের ভাষণ সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান অধীর চৌধুরী। আপনি কি ক্ষুব্ধ? Zee ২৪ ঘণ্টাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,'আমি কেন ক্ষুব্ধ হব? তাঁর সঙ্গে ওঠাবসাও নেই। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনাও হয়নি। তারা বলতে পারবে। কংগ্রেস শতাব্দীপ্রাচীন দল। তার নির্দিষ্ট রীতিনীতি আছে।'


এতদিন আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের আলোচনা চলছিল বলে খবর। বামেরা ৩০টি আসন ছেড়েছে আব্বাস সিদ্দিকির নতুন দলকে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা এখন ঝুলে। কারণ, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে একটি আসনও ছাড়তে চাইছে না তারা। কিন্তু, অধীর চৌধুরী যেভাবে বলছেন, আইএসএফের সঙ্গে আলোচনা হয়নি, তা কী ইঙ্গিত দিচ্ছে? সোমবার আলিমুদ্দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসছে। আইএসএফ-কে জোটে রাখতে সম্ভবত প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে জোট কাটাতে চাইছেন সিপিএম নেতারা। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, এখনও যদি জোট পোক্ত না হয় তবে প্রচারই বা কবে থেকে শুরু হবে, প্রার্থীও বা কীভাবে বাছা হবে? সেনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন- ভিড়, বিকল্প জোটের বার্তা সবই থাকল ব্রিগেডে, নেই শুধু জনতার 'নেতা'