ওয়েব ডেস্ক: রাত যত গড়িয়েছে তত বেড়েছে উত্তেজনা। এই বুঝি জেল ছেড়ে বাইরে এলেন মদন মিত্র। তবে আইনজীবীদের পরামর্শে রাতটা জেলেই কাটিয়েছেন মদন। ভোরের আলো ফোটার পর মিলল মুক্তি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টান টান উত্তেজনা। প্রতি মুহূর্তে নাটক। এই বিশেষণগুলিই মদন মিত্রর মুক্তির সঙ্গে মিশে ছিল সারা রাত। জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনুগামীদের উত্সব শুরু। বাড়িতে শুরু অপেক্ষা। আলিপুর জেলের বাইরেও চলে আসেন কয়েকজন উত্সাহী অনুগামী। তবে আইনজীবীদের পরামর্শ, প্রভাবশালী তকমা সরাতে বন্ধ করতে হবে সব হইচই।


রাত নটা নাগাদ চলে যেতে বলা হয় অনুগামীদের। তবে তখনও জেলে ছিলেন মদন মিত্রর দুই ছেলে। প্রায় দশটা নাগাদ আদালতের নির্দেশের কপি নিয়ে কোর্টের কর্মীরা পৌছে যান জেলে। আশা ছিল রাতেই জেলের বাইরে পা রাখবেন মদন মিত্র। সূত্রের খবর, মদন মিত্র নিজেও তাই চাইছিলেন। জামিন পাওয়ার অনেক আগে থেকেই সুপারের ঘরে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তবে শেষপর্যন্ত আইনজীবীদের পরামর্শে পিছিয়ে আসেন। রাতটা জেলের সেলেই কাটান।


সন্ধেয় জেলে বন্দিদের গুণতি হয়ে যায়। তারপর কোনও বন্দিকে মুক্তি দিতে হলে সুপারের বিশেষ অনুমতি লাগে। সেই অনুমতি নিলে ফের গায়ে চাপতে পারে প্রভাবশালী তকমা। তাই আইনজীবীদের পরামর্শে জেলেই রাত্রিবাস করেন মদন। বাড়ি ফিরে যান দুই ছেলেও। মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই মিলবে মুক্তি। জামিন মঞ্জুর হয়েছে, এই খবরে গভীর রাতেই কানপুর থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন মদন মিত্রর আইনজীবী নীলাদ্রি ভট্টাচার্য। কথা হয় বাকি আইনজীবীদের সঙ্গে।


সকালে কখন মদন মিত্র জেল থেকে ছাড়া পাবেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রথমে ঠিক হয় সকলের চোখ এড়িয়ে ভোর চারটে নাগাদ জেলের বাইরে আনা হবে মদন মিত্রকে। কিন্তু সমস্যা জেলের নিয়ম। সকালের গুণতির আগে জেল ছাড়া যায় না। সেক্ষেত্রে, সকাল ছটা নাগাদ জেলের গুণতিতে হাজিরা দিতে হবে মদন মিত্রকে। এই নিয়ম মেনে নেন মদন মিত্রর আইনজীবীরা। ঘড়িতে ঠিক পৌনে সাতটা। জেলের বাইরে পা রাখেন মদন মিত্র।