নারদ মামলায় স্বস্তি মিলতেই কল্যাণের বাড়িতে বিরিয়ানি পাঠালেন ববি; `মাই অল টাইম ফেভারিট`, বললেন কল্যাণ
নারদ মামলায় আপাতত স্বস্তি ফিরহাদের।
শ্রেয়সী গাঙ্গুলি
মামলায় হাকিমি লড়াই আপাতত শেষ। অভিযুক্তেরা পেয়ে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী জামিন। সেই খুশিতে আইনজীবীর বাড়িতে বিরিয়ানি পাঠালেন এক সদ্য-জামিনপ্রাপ্ত।
এ পর্যন্ত গল্পটা খুব সাধারণ। ববি হাকিমের জন্য হাকিমি লড়াই শেষে যদি স্বয়ং ববির থেকেই তাঁর 'আইনজীবী'র বাড়িতে যায় এক হাঁড়ি গরম বিরিয়ানি, তা হলে অবশ্য সেটা আর সাধারণ থাকে না।
তবে, সাধারণ থেকে অসাধারণে 'টার্ন' নিতে থাকা এ গল্পে একটু ভুলও তো হল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় যে শুধুই ববির 'আইনজীবী' নয়, তা শিশুও জানে। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ কলকাতার মেয়র তথা প্রশাসক, তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববির বন্ধু, রাজনৈতিক সতীর্থ। বহু দিনের পারস্পরিক পরিচয়। সহযোগিতার এক বন্ধুত্বপূর্ণ প্রেক্ষিত তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বে আবদ্ধ রেখেছে। একসঙ্গে অনেক চড়াই উতরাইয়ে রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে তাঁদের পথ চলা।
আরও পড়ুন: জামিন অধরা ৪ হেভিওয়েটের, নারদ মামলায় রাজ্যকে পক্ষ করার অনুমতি হাইকোর্টের
সেই বন্ধুবর ফিরহাদের জামিনের জন্য তাই হাইকোর্টে অন্যান্য আইনজীবীদের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে কখনও নরমে কখনও গরমে জমিয়ে সওয়াল করেছেন কল্যাণ। শেষ পর্যন্ত সাফল্যও এনেছেন। শুক্রবার এই নারদ মামলার (Narada Case) রায়ে জানা যায়, মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এর পরেই জামিন-প্রাপ্ত উচ্ছ্বসিত বন্ধু ববি কল্যাণের বাড়িতে পাঠালেন এক হাঁড়ি বিরিয়ানি।
কেসে জেতার আনন্দের সঙ্গে যদি উপহার হিসেবে আসে বিরিয়ানিও তা হলে অনুভূতিটা কেমন হয়?
রেগে গেলে যাঁর অগ্নিশর্মা রূপ দেখে লোকে থরহরিকম্প হয়, সেই কল্যাণ (Kalyan banerjee) এই প্রশ্ন শুনে শিশুর হাসি হেসে ফেললেন। হাসতে-হাসতেই বললেন, বিরিয়ানি যে বড্ড ভালোবাসি। মাই অল টাইম ফেভারিট।
আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি,নারদ মামলায় শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন ফিরহাদদের