কলকাতা: একটি ভোট পাল্টে দিতে পারে সরকার। রাতারাতি শাসক হয়ে যেতে পারে বিরোধী। আর বিরোধীরা হয়ে উঠতে পারে শাসক। এমনই ক্ষমতা ভোটের। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণভোটের ক্ষমতা কতটা? অধিকাংশ পড়ুয়ার রায়, উপাচার্য পদে অভিজিত্‍ চক্রবর্তীকে তাঁরা চান না। ভোটবাক্সের ফল কি আনবে কোনও বদল? বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিস ডাকার উপাচার্যের সিদ্ধান্ত। সেই শুরু....অস্থিরতার। শুরু আন্দোলনের আরেক অধ্যায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহামিছিল-ক্লাস বয়কট-হাজির হয়েও হাজিরা না দেওয়া, গাছ তলায় ক্লাস-- --প্রতিবাদের সব রূপই দেখেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু মুখে প্রতিবাদ নয়। মতামত আরও স্পষ্ট, আরও স্বচ্ছ করতে পড়ুয়াদের পরের হাতিয়ার ছিল গণভোট।


৩০ ও ৩১ অক্টোবর কলা বিভাগে ভোট নেওয়া হয়।  
উপাচার্যের বিপক্ষে মত দেন ৯৭% ছাত্রছাত্রী। উপাচার্যের পক্ষে, মাত্র ৩% শতাংশ।


সেপ্টেম্বরের ঘটনার রেশ কাটেনি নভেম্বরেও।


উত্তাল যাদবপুর। কিন্তু সরাসরি একবারের জন্যেও দুঃখপ্রকাশ করেননি উপাচার্য। এরই মধ্যে অস্থায়ী থেকে তিনি নিজের পদে স্থায়ী হয়েছেন।


অভিজিত্‍ চক্রবর্তীকে কি উপাচার্য পদে মেনে নেওয়া হবে? এই প্রশ্নে এগারো এবং বারোই নভেম্বর গণভোটে সামিল হয় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সেখানেও ফল এক।
৯৭% ছাত্রছাত্রী উপাচার্যের বিপক্ষে। ৩% মত যায় পক্ষে।  


এখন প্রশ্ন, এই গণভোটের আইনি বৈধতা আদৌ আছে কি?
রাজ্যপালের বক্তব্য, নেই।


আইনি বৈধতা না থাকলেও, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ পড়ুয়া উপাচার্যের অপসারণ চান সেখানে কি এখনও গদি আঁকড়ে থাকবেন অভিজিৎ চক্রবর্তী।