নিজস্ব প্রতিবেদন: রাম নবমীর পর কি এবার হনুমান জয়ন্তী নিয়ে উত্তাল হতে চলেছে রাজ্য রাজনীতি? দুই শিবিরেই শুরু হয়ে গিয়েছে তত্পরতা। রাম নবমীর মতো হনুমান জয়ন্তীও উদযাপন করবে তৃণমূল। আর বিভিন্ন মন্দিরে ইষ্টনাম জপ করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে হাওড়ায় শোভাযাত্রা করবেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "হিন্দুত্ব কারোর কাছ থেকে শিখতে হবে না। যার যার ইচ্ছা, তাঁরা সবাই হনুমান জয়ন্তী পালন করবেন''। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকালে শোভাযাত্রা রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লার। বড়বাজারে হনুমান মন্দিরের কাছে শিবির করছে তৃণমূল। বিধাননগর নগর স্টেশনে কাছে স্থানীয় বিধায়ক সাধন পাণ্ডের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে হনুমান মূর্তি। বিধায়ক সাধন পাণ্ডের দাবি, তিনি প্রতিবছরই হনুমান জয়ন্তী উদযাপন করেন। শ্রীভূমিতে মন্দিরে পুজো দেবেন সুজিত বসু। এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের।


হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিও পিছিয়ে নেই। তবে শোভাযাত্রা করছে না তারা। হনুমান জয়ন্তীতে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে প্রচার করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ''কোনও মিছিল হচ্ছে না। বিভিন্ন মন্দিরে ইষ্টনাম জপ করব।'' আরএসএস-এরও তেমন কর্মসূচি নেই। মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেবেন সঙ্ঘের লোকেরা। বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়নি।   
    
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাম নবমীর তেজ হনুমান জয়ন্তীতে থাকছে না। সংযতভাবেই হনুমান পুজো করতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।


প্রশাসনের তরফেও ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও নির্দেশ দিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া কাউকে যেন শোভাযাত্রা করতে না দেওয়া হয়। পাশাপাশি অস্ত্রও নেওয়া যাবে না। 


আরও পড়ুন- ৩১ মার্চের মধ্যে এই দুটি কাজ করতেই হবে এসবিআই গ্রাহকদের