ওয়েব ডেস্ক: আজ ফের রাস্তায় পরস্পরের বিরুদ্ধে বাম ও তৃণমূল। আজ ১৭টি বাম দল রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন করবে। ধর্মঘট ভাঙার নামে শাসক দল ও পুলিসের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ধর্মঘটের নামে বামেদের তাণ্ডবের অভিযোগে আজ ও আগামিকাল বিকাল চারটে থেকে একঘন্টা ধিক্কার দিবসের ডাক দিয়েছে তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 কড়া বিজ্ঞপ্তি। দফায় দফায় নির্দেশিকা। তারপরও সাধারণ ধর্মঘটের দিনটা ছুটির মুডেই কাটালেন সরকারি কর্মীরা। দিনভর শুনসান রইল মহাকরণ ও নবান্ন। যদিও দিনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, সরকারি কর্মীদের হাজিরা ছিল, অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।


তিন দফায় নির্দেশিকা। একদিনের বেতন কাটার ফরমান। ধর্মঘটের দিন কর্মীদের অফিসে হাজির করতে চেষ্টার খামতি রাখেনি সরকার। কিন্তু, নিট ফল?


মহাকরণের বেশিরভাগ দফতরই শুনসান। ফাঁকা টেবিল চেয়ার। সুযোগ বুঝে দিবানিদ্রাও সেরে নিলেন কেউ কেউ। অনেকেই আবার ছিলেন পুরোপুরি পিকনিক মুডে। রান্নাবান্নার পর চলল জমাটি খাওয়া দাওয়া। একই ছবি ধরা পড়েছে নবান্নেও। চেয়ার আছে কর্মী নেই।  তবে, সবাই এমনটা করেননি।  দিনের শেষে সরকারের যে খতিয়ান দিয়েছে, তাতে রাইটার্স ছাড়া সবজায়গায় হাজিরা ছিল নব্বই শতাংশের ওপরে।


হাজিরার খতিয়ান
----------
দফতর               হাজিরা
বিকাশ ভবন          ৯৮%
শিল্প ভবন            ৯৬%
জলম্পদ ভবন        ৯২%
নিউ সক্রেটারিয়েট    ৯৬%
স্বাস্থ্য দফতর         ৯১%
নবান্ন                ৯৬%
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর    ১০০%
অর্থ দফতর          ৯৮%


সরকারি হিসেবের সঙ্গে কিন্তু, দিনভর মিলল না ছবিটা। এত কর্মী যদি অফিসেই ছিলেন তাহলে তাঁরা গেলেন কোথায়? তবে কী সই করেই অফিস ছেড়েছেন অধিকাংশ কর্মীই? সাধারণ ধর্মঘটের দিনটা কাটালেন ছুটির মুডেই?