নিজস্ব প্রতিবেদন: চড়, থাপ্পড়, লাথি, ঘুষি। বার বার। বহু বার। রোগী মৃত্যুতে ডাক্তারদের মার খাওয়া কার্যত পেশাগত ঝঞ্ঝাটে পরিণত হয়েছে। সরকারি থেকে বেসরকারি হাসপাতাল, এটাই যেন দস্তুর। দফায় দফায় মিটিং, নিরাপত্তার আশ্বাস, ডাক্তারবান্ধব প্রচার, সরকারি নানা উদ্যোগের পরেও বদলাচ্ছে না ছবিটা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একবালপুরের হাসপাতালে পুলিসের সামনে ডাক্তারকে কষিয়ে চড়। রোগী মৃত্যুতে ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনা অনেক। গত আড়াই বছরে প্রায় ২০০ জন ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে...


** ২০১৯ এর জুনে NRS হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের মারে গুরুতর জখম হন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। খুলিতে মারাত্মক চোট পান পরিবহ।


** দার্জিলিংয়ে মহিলা ডাক্তারকে কুকরির কোপ।


** পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ডাক্তারকে রাস্তায় ফেলে মার।


** মোমিনপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন পুলিসকর্মীর ডাক্তারকে বেদম প্রহার।


** ডেবরাতে রোগী মৃত্যুতে ডাক্তারের পোশাকে বিষ্ঠা মাখিয়ে দেওয়া


বারবার নিগ্রহের ঘটনায় ডাক্তাররা প্রতিবাদে সরব। অবস্থান বিক্ষোভ থেকে রাস্তায় নেমে মিছিল, এমনকি আদালতে যাওয়া, সবই করছেন তাঁরা। ডাক্তারদের একাধিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন- জাতীয়তাবাদের অর্থ হিটলার, নাত্সিবাদ, ভাগবতের নিশানায় 'দেশপ্রেমী' দল   


আবার উলটো অভিযোগও আছে। NRS হাসপাতালে নিগ্রহের ঘটনায় বয়ান সংগ্রহের জন্য ডাক্তারদের কাছে নোটিস পাঠায় পুলিস। অভিযোগ, NRS কাণ্ডে কোনও ডাক্তারই বয়ান দিতে রাজি হননি। যাঁকে নিগ্রহ নিয়ে তোলপাড় হয় শহর, সেই পরিবহ পর্যন্ত বয়ান দেননি বলে অভিযোগ, শুধু তাই নয়। কেস থেকে যাতে নাম তুলে নেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়ে পুলিসকে চিঠি দেন ডাক্তাররা ।