২৪ ঘন্টার সৌজন্যে শহরে ফের ভুয়ো ডাক্তারের পর্দা ফাঁস
শহরে ফের ভুয়ো ডাক্তারের পর্দা ফাঁস।ফাঁস করল ২৪ ঘণ্টা। MBBS ডিগ্রি ছাড়াই দিব্বি চলছিল রোগী দেখা। এক দু দিন নয়, সাতাশ বছর ধরে! ক্যামেরার সামনে দোষ মেনে নিলেন অভিযুক্ত সমীর কুমার মণ্ডল। তবে সমীর বাবু একা নন, ঠাকুরপুকুরের কস্তুরী নার্সিং হোমে রয়েছেন এমন আরও দুই ডাক্তার।
ওয়েব ডেস্ক: শহরে ফের ভুয়ো ডাক্তারের পর্দা ফাঁস।ফাঁস করল ২৪ ঘণ্টা। MBBS ডিগ্রি ছাড়াই দিব্বি চলছিল রোগী দেখা। এক দু দিন নয়, সাতাশ বছর ধরে! ক্যামেরার সামনে দোষ মেনে নিলেন অভিযুক্ত সমীর কুমার মণ্ডল। তবে সমীর বাবু একা নন, ঠাকুরপুকুরের কস্তুরী নার্সিং হোমে রয়েছেন এমন আরও দুই ডাক্তার।
ঠাকুরপুকুরের কস্তুরী নার্সিং হোম। রোগী সেজে সেখানে পৌছে গেল ২৪ ঘণ্টা। এমার্জেন্সিতে তখন রোগী দেখছেন সমীর কুমার মণ্ডল। কে এই সমীর কুমার মণ্ডল?
কস্তুরী নার্সিংহোমের এমার্জেন্সিতে মেডিক্যাল অফিসার সমীর কুমার মণ্ডল। ২৭ বছর ধরে কাজ করছেন ওই নার্সিংহোমে। অ্যালোপ্যাথ হিসেবেই চিকিত্সা করেন।
দিব্বি পসার ডাক্তার বাবুর। হরিদেবপুরে তাক লাগানো বাড়িও করেছেন। কিন্তু এসবের পিছনে আসল সত্যিটা জানলে চমকে উঠবেন?
সমীর মণ্ডলের দাবি, সব জেনেই তাঁকে নিয়োগ করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। শুধু সমীর কুমার মণ্ডলই নন, সুজয় দাস এবং আনন্দ নন্দ নামে আরও দুজন ভুয়ো ডাক্তার আছেন এই নার্সিংহোমে। চাপের মুখে অভিযোগ মেনে নিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষও।
প্রশ্ন উঠছে, MBBS ডিগ্রি ছাড়া চিকিত্সকদের কেন নিয়োগ করত এই নার্সিংহোম? চিকিত্সা মানে কি শুধুই ব্যবসা? বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজি।
ভুয়ো চিকিত্সক নিয়ে নতুন তিনটি অভিযোগ জমা পড়ছে কাউন্সিলে। সেগুলি CID-র কাছে পাঠাচ্ছেন তাঁরা। (আরও পড়ুন- পুলিস পরিচয় দিয়ে রোগীর সর্বস্ব লুঠ, মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় বাড়ছে আতঙ্ক )