নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা দেশে নতুন করে থাবা বসাচ্ছে করোনা। সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কোথাও কোথাও মিনি লকডাউনের কথা ভাবা হয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যের বেশ কিছু শহরে চলছে নাইট কার্ফুও। এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ রাজ্যে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (assembly election)। সেই আবহে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন। সেখানে কোভিডের কথা মাথায় রেখে রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশ। 


আরও পড়ুন: সোমবার থেকে রাজস্থানে Night Curfew, ভারত জুড়েই কপালে ভাঁজ ফেলছে Corona-র ঢেউ


নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে এই নির্দেশগুলি দেওয়া হয়েছে:


•রাস্তাঘাটে শারীরিক দূরত্ব (physical distance)এবং মাস্ক (mask) বাধ্যতামূলক করতে হবে।
•বিবাহ ইত্যাদি সামাজিক কাজগুলি নিয়ম মেনে হচ্ছে কিনা, দেখতে হবে।
•সাধারণের জন্য ব্যবহৃত পরিবহণে কোভিড প্রোটোকল (covid protocol) মানতে হবে।
•রাজনৈতিক অনুষ্ঠান এবং র‍্যালির ক্ষেত্রে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মানার আবেদন জানানো হয়েছে।
•টিকাকরণের কাজ দ্রুত সারতে হবে।
•(কোমরবিডিটি'র কথা মাথায় রেখে) ৬০ ও ৪৫ বছরের উপর যাঁদের বয়স তাঁদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রতিনিয়ত নজর রাখতে হবে।
•চিহ্নিতকরণ ও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
•যে সমস্ত জায়গায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে সেখানে প্রতিনিয়ত 'মনিটরিং'য়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
•হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্য পরিকাঠামো নিয়ে 'রিভিউ' করতে হবে। অক্সিজেনের উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।
•জেলায়-জেলায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সচল রাখতে হবে। চালু রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন।
•প্রয়োজন পড়লেই যেন ডাক্তার, নার্স, সিসিইউ স্টাফদের পাওয়া যায় এমন ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে।
•নির্বাচন-পর্বে কোভিড প্রোটোকল মেনেই করতে হবে সব রকম ব্যবস্থা।


সামনেই ভোট বলে রাজ্যে বাইরে থেকে বাহিনী আসবে। কিছু এসে গিয়েছে। এ ছাড়াও নির্বাচনী প্রচারে ভিড় হবে। এক জায়গায় প্রচুর মানুষের থাকার সম্ভাবনা। ভোটের দিনগুলিতেও ভোটকেন্দ্রগুলিতে ভিড়ের আশঙ্কা। ফলে আগে থেকে সাবধান না হলে মুশকিল।  


আরও পড়ুন: গায়ত্রী ও প্রাণায়ামে Corona থেকে আরোগ্য? AIIMS-য়ে চলছে গবেষণা