পিয়ালি মিত্র ও দেবব্রত ঘোষ: কলকাতায় ফের টাকা উদ্ধার। লালবাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ীর অফিস থেকে সিআইডি-র অভিযানে উদ্ধার হয় টাকা। লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মোট টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ৩১ হাজার। এমনটাই জানা যাচ্ছে সিআইডি সূত্রে। একইসঙ্গে কমপক্ষে ২৫০টি রূপোর কয়েনও উদ্ধার হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর অফিস থেকে। এদিন বিকানের বিল্ডিংয়ে ওই ব্যবসায়ীর অফিসের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে তল্লাশি। উপস্থিত ছিলেন সিআইডির উচ্চপদস্থ কর্তারা। এই অফিসেই টাকার হাতবদল হয়েছিল বলে মনে করছেন সিআইডি অফিসাররা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার সন্ধ্যায় ঝাড়খন্ডের ৩ বিধায়কের কাছ থেকে ৪৯ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। সেই মামলাতেই এদিন লালবাজার এলাকায় বিকানের বিল্ডিংয়ের ওই অফিসে তল্লাশি চালায় সিআইডি। সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অফিসের কম্পিউটার থেকেও মিলেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যার ফলে বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে কম্পিউটারগুলির হার্ড ডিস্ক। বেশ কিছু নথিও মিলেছে বলে খবর। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালের নাম জড়িয়েছে এবং যাঁর অফিসেই আজ তল্লাশি চালায় সিআইডি, তাঁর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি জারি রয়েছে। সিআইডি-র অনুমান, এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে হাওয়ালা যোগ রয়েছে। 



হাওড়ার পাঁচলা থেকে বিপুল টাকা-সহ গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। ওই ৪৯ লাখ টাকা ৩ বিধায়কের কাছে কীভাবে এল? সেটাই এখন প্রশ্ন। ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের এক বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, সরকার ভাঙার জন্যই ওই টাকার লেনদেন হচ্ছিল। তদন্তে উঠে এসেছে ঝাড়খণ্ডের ওইসব বিধায়করা উঠেছিলেন মধ্য কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। হোটেলে কোনও এন্ট্রি হয়নি। ভিআইপি হিসেবে তাঁরা হোটেল ঢোকেন। কিছুক্ষণ পর হোটেল থেকে বেরিয়ে যান চতুর্থ ব্যক্তি। স্কুটি নিয়ে লালবাজারের দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি ফেরেন একটি ব্যাগ নিয়ে। সম্ভবত সেই ব্যাগেই টাকা আনা হয়েছিল। এমনটাই অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।


বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে। ওই ৩ জন সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ঝাড়খণ্ডের এক কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, সরকার ভাঙার জন্য তাঁকে ১০ কোটি টাকা টোপ দেওয়া হয়েছিল। ওই দশ কোটির অগ্রিম দেওয়ার জন্যই তাঁকে কলকাতায় ডাকা হয়েছিল। ঝাড়খন্ডে সরকার ফেলতে সেই 'ষড়যন্ত্র' মামলায় মঙ্গলবার সিদ্ধার্থ মজুমদারের নামে লুক আউট সার্কুলারও ইস্যু করেছে সিআইডি। ধৃত তিন বিধায়ককে জেরা করেই উঠে আসে সিদ্ধার্থ মজুমদারের নাম। ২০ জুলাই ও গত শুক্রবার গুয়াহাটিতে যে বৈঠকে হয়, সেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ছিলেন দিল্লির বাসিন্দা এই সিদ্ধার্থ মজুমদার। 


আরও পড়ুন, Arpita Mukherjee, Bengal SSC Scam News Update: 'অ-পা' কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য ইডির হাতে! ফ্ল্যাট থেকে কোথায় যেত টাকা? মিলল সূত্র...


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)