শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফের মানচিত্র বিভ্রাট। এবার হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলে মাধ্যমিকে টেস্টে ভূগোল পরীক্ষায় বিলি করা হল বিকৃত ম্যানচিত্র। ভারতের মানচিত্র থেকে বাদ গেল আকসাই চিন ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর। কাঠগড়ায় তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন। যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া গেল না তৃণমূলের শিক্ষা সেলের প্রধান তথা হাওড়ার কাউন্সিলর দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়কে। 


ভারতের মানচিত্রে নেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর, লাদাখ ও আকসাই চিন। এমনকি বেমালুম গায়েব আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও লাক্ষাদ্বীপ। এমন ভুলে ভরা মানচিত্র বিলি করা হল হাওড়ার স্কুলে। গোটা কাশ্মীরকেই নিজেদের বলে দাবি করে পাকিস্তান। আকসাই চিনকেও নিজেদের অংশ বলে বেজিং। ভারতের মানচিত্র থেকে এই দুটি অঞ্চলই বাদ দেওয়া হয়েছে।


কীভাবে এমন ভুল মানচিত্র বিলি করা হল?

স্কুলগুলির দাবি, সেকেন্ডারি টিচারস ফোরাম থেকে প্রশ্নপত্র নিয়েছে তারা। শাসক দলের লোকজন ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ওই সংগঠনটির সঙ্গে। গত ১৬ নভেম্বর হাওড়ার শরত্ সদন থেকে প্রশ্নপত্রগুলি সংগ্রহ করে স্কুলগুলি। ওই হলের দেখাশোনা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর দীব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে তিনি আবার তৃণমূলের শিক্ষা সেলের প্রধান।


প্রশ্ন উঠছে, শরত্সদন ভাড়া করে প্রশ্নপত্র বিলি করা হল অথচ বিষয়টি খতিয়ে দেখলেন না কাউন্সিলররা। তৃণমূলের শিক্ষা সেলের প্রধানের নাকের ডগা দিয়েই বিলি করা হল ভুল মানচিত্র। ১৬ নভেম্বর প্রশ্নপত্র নেওয়ার জন্য বহু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা হাজির ছিলেন, সেটা আশপাশের অনেকেই জানেন। তাহলে কেন দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নজরে এল না? বারবার ফোন করেও দিব্যেন্দুবাবুকে পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁর প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি। 


এর আগেও ভূগোল পরীক্ষায় মানচিত্র বিভ্রাটের অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সেই ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছিল তৃণমূলের শিক্ষক নেতা সঞ্জয় আচার্যের নাম।শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফাই দিয়েছিলেন,''পর্ষদ প্রশ্নপত্র ছাপায় না। তাই এর দায়ও নেবে না।'' ঘটনায় দায় এড়িয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতিও।