সীমান্ত দিয়ে অবাধে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে বাংলাদেশি জঙ্গিরা
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অস্ত্র পাচারের জন্য সেই রুটই ব্যবহার করছে জঙ্গিরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যে পথ ধরে মাদক ঢোকে। অস্ত্র পাচারের জন্য সেই রুটই ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। আর সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে তদন্তকারীদের। বসিরহাটের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলি হয়ে উঠছে আল কায়দা জঙ্গিদের সফট টার্গেট।
পঠানকোট-গুরুদাসপুর। পঞ্জাবের দুই জায়গায় জঙ্গি হানার পর এনআইএ তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছিল, মাদক পাচারের রুট ধরেই ঢুকেছিল জঙ্গিরা। বসিরহাটেও সেই নীলনকশাই ব্যবহার করছে আল কায়দা জঙ্গিরা। বসিরহাট ও স্বরূপনগর থানা এলাকার তরালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সীমান্তবর্তী বিঠারি, হাকিমপুর, আমুদিয়ার বহু যুবক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি যোগ হয়েছে ভৌগলিক সুবিধা। স্বরূপনগর- বসিরহাট জুড়ে থাকা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ সীমান্তের বড় অংশ নদীপথ। সীমান্তের বহু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ারও নিশ্চিহ্ন। এসব জায়গা ব্যবহার করেই গড়ে উঠছে মাদক পাচারের নয়া রুট।
আরও পড়ুন- ভারতে নাশকতা ছড়াতে এসেছিল দুই বাংলাদেশি জঙ্গি, বিস্ফোরক তথ্য
শুধু রুট নয়। যারা মাদক পাচার করছে, অস্ত্রের জন্যও সেইসব যুবকদেরই টার্গেট করছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। বাড়তি পয়সার লোভে মাদক ক্যারিয়ার হিসাবে কাজ করা যুবকরাই অস্ত্র চালান করছে। এতে একধাক্কায় কমছে অস্ত্র পাচারের ঝুঁকি। বসিরহাটের বাসিন্দা এই যুবকদের অনেক আত্মীয় বাংলাদেশে থাকেন। সেই সুযোগ সামনে রেখে সীমান্ত পার করে মাদক বা অস্ত্র পাচার করা এদের পক্ষে সহজ। অন্য আরও একটা বিষয় গোয়েন্দাদের আরও ভাবাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত সীমান্ত পারপার করা লোকের ভিড়ে মিশে যাচ্ছে জঙ্গিরা। বিনা কাগজ পত্রেই এরা ঢুকে যাচ্ছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে। সেখানেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে কাগজপত্র। আর সেই ভুয়ো রেশন-আধার কার্ড হাতিয়ার করে দেশের বড় বড় শহরে ছড়িয়ে পড়ছে সামসেদ-রিয়াজুল-জিয়ারুলরা।