ভারতে নাশকতা ছড়াতে এসেছিল দুই বাংলাদেশি জঙ্গি, বিস্ফোরক তথ্য

কীভাবে এদেশে ঢুকেছিল সামসেদ মিঞা ও রিয়াজ? কী ছিল তাদের লক্ষ্য?

Updated By: Nov 22, 2017, 10:21 PM IST
ভারতে নাশকতা ছড়াতে এসেছিল দুই বাংলাদেশি জঙ্গি, বিস্ফোরক তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন: আইএস-এর ছেড়ে দেওয়া জমি দখল করতে মরিয়া আল কায়দা। সেই লক্ষ্যেই এদেশে ঢুকেছিল সামসেদ মিঞা ও রিয়াজ। মেট্রো শহরে নাশকতা ঘটিয়ে যতবেশি সম্ভব প্রাণহানিই ছিল দুই জঙ্গির লক্ষ্য।

ন্যাটো বাহিনীর হামলার মুখে দ্রুত জমি হারাচ্ছে আইএস। সেই সুযোগে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে সংগঠন গঠন বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আল কায়দা। এদেশে সংগঠন জোরদার করার লক্ষ্য নিয়েছে আল কায়দা। বছর দুই আগেই আল কায়দার প্রধান উপমহাদেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিল। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই বছর দেড়েক আগে ভারতে ঢুকে পড়ে সামসেদ মিঞা ওরফে তনভির ও তার আরেক সঙ্গী রিয়াজ। সামসেদ ওরফে তনভির আনসারুল বাংলা জঙ্গি গোষ্ঠীর বিস্ফোরক শাখার প্রধান।বিস্ফোরক বানানো ও প্রশিক্ষণ দেওয়া তনভিরের দায়িত্ব।

জাল কাগজপত্র বানিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় তনভির। বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে তনভির চলে যায় হায়দরাবাদে। তুষার বিশ্বাস নাম নিয়ে খুলে ফেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। চাকরি নেয় কসাইখানায়। পাশাপাশি শুরু করে হার্ডওয়্যারের ট্রেনিং। তনভিরকে জেরা করে আনসারুল বাংলা টিম ও আল কায়দা যোগসাজশের বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন- দুই স্ত্রী, জিয়ারুল ও মনোতোষ কি একই ব্যক্তি? জোরাল রহস্য

২০১৫-র আগে আনসারুল বাংলা আইএস ঘনিষ্ঠ ছিল। ওই বছর ওই সংগঠনের দায়িত্ব নেয় মেজর জিয়া। মেজর জিয়া তালিবানপন্থী হওয়ায় আনসারুল বাংলাও মতার্দশ বদলায়। ২০১৫-র ডিসেম্বরে আল কায়দা শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পুরোপুরি আল কায়দা মনোভাবাপন্ন হয়ে যায় তারা। বাংলাদেশে ধরপাকড় শুরু হতেই সীমানা পার করে এদেশে ঢোকে তনভির। তারপর ধীরে ধীরে কাজ শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই তাকে এদেশে সংগঠনের অপারেশনাল হেডের দায়িত্ব দেওয়া হয়।  

এদেশে নাশকতার পাশাপাশি, বাংলাদেশেও আনসারুল বাংলাকে লজিস্টিক সাপোর্টের দায়িত্ব ছিল তনভিরের কাঁধে। বাংলাদেশের নামী ব্লগার সাদিক ফারুককে খুন করার দায়িত্ব বর্তায় তনভিরের উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে সাদিকের প্রতিদিনের গতিবিধি নথিবন্ধ ছিল। বাংলাদেশের পাশাপাশি এরাজ্যেও নাশকতার জন্য চাপ বাড়াচ্ছিল আল কায়দা। তাদের পছন্দ জনবহুল শহরের এলাকা।

.