নিজস্ব প্রতিবেদন : স্কুল ড্রেস আর পিঠে ব্যাগ। পরের পর লাফ। পরপর ভল্ট। আর সঙ্গে একটা ভিডিয়ো পোস্ট। সোনাজয়ী অলিম্পিয়ান থেকে দেশের তাবড় মন্ত্রী-সেলেব। সবার বিষ্ময় দুই খুদে পড়ুয়া। কে এই দুই প্রতিভা? দেশ তথা বিশ্ব খুঁজছিল দুজনকেই। খুঁজে বার করল Zee ২৪ ঘণ্টা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খেলতে খেলতে খেলা। চলতে চলতে লাফ। দুই খুদের ডিগবাজি দেখে ভিরমি খায়নি কে? সোশ্যাল সাইটে একটা ভিডিয়ো পোস্ট হয়েছিল মাত্র। নিখুঁত টাইমিং, দুরন্ত ভারসাম্য-দুই পড়ুয়ার বিস্ময় সামার সল্ট। কীভাবে সম্ভব এমন জিমন্যাস্টিক। কারা এরা? কোথায় থাকে দুই বিস্ময়। ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে গোটা পৃথিবীতে। কীভাবে এত নিঁখুত ভাবে ল্যান্ডিং? কীভাবে এত দূরন্ত ভারসাম্য? মুগ্ধ সবাই। দেশের মন্ত্রী থেকে ক্রীড়াবিদ। আম জনতা থেকে তাবর সেলেব। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে, রোমানিয়ান অলিম্পিয়াড, নাদিয়া কোমানোচি পর্যন্ত টুইট করেন এই দৃশ্য দেখে।



যাদের সারা দেশ, সারা পৃথিবী খুঁজছে। সেই খুদেরা খাস কলকাতার। সামনে আনল Zee ২৪ ঘণ্টা। একজনের নাম লাভলি, একজন আলি। কলকাতার বন্দর এলাকার হাইড রোড বস্তি। এখানেই বেড়ে উঠছে দুজন। আর্থিক সঙ্গতি?  মাথার গোঁজার ঠাঁইটুকু নিশ্চিত নয় আজও। ঘরে অন্ধকার কিন্তু মনে প্রত্যয়। স্থানীয় সঙ্ঘমিত্র বিদ্যালয়ের পড়ুয়া দুজনেই। একজনের বাবা গাড়িচালক, অন্যজনের বাবা শ্রমিক। পড়াশুনা হোক বা দু'বেলা ভাল খাবার, সবটাই- অত সহজ নয় বলছিলেন লাভলির মা রেশমা খাতুন।


আরও পড়ুন - রাস্তায় জিমন্যাস্টিকস দেখাল স্কুল পড়ুয়া! মুগ্ধ হয়ে দেখা করতে চাইলেন ক্রীড়ামন্ত্রী


প্রশিক্ষণ ছাড়াই কীভাবে নিখুঁত টাইমিং? ঘোর কাটছে না ক্রীড়াবিশ্বের। জিমন্যাস্টিকের কোনও প্রশিক্ষণ নেই। পিচ রাস্তার ওপর দুঃসাহসিক ভল্ট। শখে নাচ শেখে দুজনেই। শেখান স্থানীয় শেখর রাও। তিনিই পোস্ট করেছিলেন ভিডিয়ো। এ দেশে কত প্রতিভাই হারিয়ে যায়। কিন্তু লাভলি আর আলিকে হারানো চলবে না। বন্দর রোড খুব দূরে নয়। দূরে নয় সোনার ভবিষ্যতটাও। একটু সাহায্য, একটু নজর, খুব কী কঠিন?