বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সংক্রমণের অভিযোগ, আরও অসুস্থ নিউ টাউনের বৃদ্ধ
হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সংক্রমণ। আরও অসুস্থ অবস্থায় বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ছেলে। অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতাল গাফিলতি তো মানেইনি, উল্টে চাপিয়ে দেয় বিশাল অঙ্কের বিলের বোঝা। হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়ে বিচারের আশায় অসহায় বৃদ্ধ।
ওয়েব ডেস্ক: হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সংক্রমণ। আরও অসুস্থ অবস্থায় বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ছেলে। অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতাল গাফিলতি তো মানেইনি, উল্টে চাপিয়ে দেয় বিশাল অঙ্কের বিলের বোঝা। হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়ে বিচারের আশায় অসহায় বৃদ্ধ।
নিউ টাউনের বাসিন্দা প্রভাতকুমার ঘোষ। শয্যাশায়ী, উঠে দাঁড়াতে পারেন না। লেখার ক্ষমতা হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যেতে বসেছে কথা বলার ক্ষমতাও। ২০১৩-র অক্টোবর। আনন্দপুরে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে দুই নামী চিকিত্সকের অধীনে ভর্তি হন প্রভাতবাবু। কাশি-শ্বাসকষ্ট বাড়ায় তিন দিন পর তাঁকে ICCU-তে নিয়ে যাওয়া হয়। দিন দশেক পর জানা যায়, অ্যাসিনেটোব্যাকটর বউমনি নামক ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের শিকার হয়েছেন প্রভাতবাবু।
চিকিত্সকদের মতে হাসপাতালে ICCU-এর মতো জায়গা জীবাণুমুক্ত না হলে এই ব্যাকটিরিয়া শরীরে থাবা বসায়। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হিতে বিপরীত। তারওপর বাবাকে নিয়ে বেরোনোর সময় প্রভাতবাবুর ছেলের হাতে ধরানো হয় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার বিল।
ICCU-এর বেড ভাড়া গুণতে হয় দিনে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। HDU-এর বেড ভাড়া দিনে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এরপরও অক্সিজেন, এমনকি বেডে চাদর পাল্টানোর জন্যও আলাদা টাকা আদায় করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সুস্থ হওয়া দূরে থাক, আরও অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রভাতবাবু। হাঁটাচলার ক্ষমতা চলে গেছে। অপচয় হয়েছে বহু টাকা। জীবন সায়াহ্নে পৌছে এখন বিচার চাইছেন বৃদ্ধ। (আরও পড়ুন- মিঠুনের বদলে রাজ্যসভায় হয়ত মণীশ, সাংসদ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রিমাও )