মিঠুনের বদলে রাজ্যসভায় হয়ত মণীশ, সাংসদ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রিমাও

Updated By: Feb 23, 2017, 01:05 PM IST
মিঠুনের বদলে রাজ্যসভায় হয়ত মণীশ, সাংসদ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রিমাও

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ফেভারিট' দুই হেরো মন্ত্রীই হয়ত এবার দিল্লি যাচ্ছেন। তৃণমূল সূত্রের খবর অনুযায়ী রাজ্যের প্রাক্তন দুই মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যই রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। তৃণমূলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাজ্যসভায় সাংসদ করে পাঠানোর বিষয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, এই দুই নাম ছাড়াও নাম ছিল আরও অনেক তৃণমূলের নেতারই। আলোচনা হয়েছিল 'রাজনীতির বাইরে' থাকা কয়েকটি নাম নিয়েও। আলোচনা হয়েছে একজন অভিনেতাকে নিয়েও। তবে তাঁদের দিকে পাল্লা ভীষণই হাল্কা। রাজ্যসভায় সাংসদ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তৎকালীন বাম সরকারের আমলা তথা প্রাক্তন বিদ্যুৎ মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

২০১৬ বিধানসভা ভোটে রাজ্যের এই দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর হারে মন খারাপ হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সিপিআইএমের তন্ময় ভট্টাচার্যের কাছে হেরেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রিমা দেবী। আর হেভিওয়েট কেন্দ্র যাদবপুরে সিপিআইএমের সুজন চক্রবর্তীর কাছে হেরেছেন মণীশ বাবু। এই দুই মন্ত্রীর হারের জন্য পরোক্ষ ভাবে দলকেই দায়ী করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য এই দুই হেরো মন্ত্রীই বর্তমান তৃণমূল সরকারে উচ্চপদে কর্মরত। একজন স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে অন্যজন দেখছেন বিদ্যুৎ। এবার এই দুই প্রাক্তন মন্ত্রীকেই রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তৃণমূল সূত্রের খবর, মণীশ গুপ্তের প্রশাসনিক দক্ষতাকে দিল্লির রাজনীতিতে কাজে লাগাতেই তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যদিকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহাধন্যা হিসেবেই 'পুরস্কৃত' হচ্ছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

সাংসদ কুণাল ঘোষের নাম কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে, দল আগেই তাঁকে বহিষ্কার করেছে। মিঠুন চক্রবর্তীও রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে মিঠুন চক্রবর্তীর জায়গাতেই মণীশ গুপ্তকে ভাবা হচ্ছে। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে মণীশ গুপ্ত রাজ্যসভায় গেলে  আরও শক্তিশালী হবে ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখরদের সরকার বিরোধী আন্দোলন। আলোচনায় দুই নামে পাল্লা ভারী হলেও এখনও পর্যন্ত পাকাপোক্ত সিলমোহর পড়েনি। কে যাবেন আর কে যাবেন না, এর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দোপাধ্যায়। 

.