নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর শেষবার হয়েছিল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharaman) তা স্মরণ করিয়ে অবিলম্বে বৈঠক ডাকার অনুরোধ করলেন অমিত মিত্র (Amit Mitra)। সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে চিঠিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী লিখেছেন,''পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে বৈঠক ডাকা হয়নি। তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।''       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিঠিতে অর্থমন্ত্রী লিখেছেন,''প্রতি ত্রৈমাসিকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা। অথচ পর পর দুটি ত্রৈমাসিকে বৈঠক না ডেকে রীতি ভঙ্গ করা হয়েছে। এমনকি ভার্চুয়ালিও নয়। জিএসটি কাউন্সিলে রাজনীতি, অঞ্চল, জনসংখ্যা ইত্যাদি ব্যতিরেকে প্রতিটি রাজ্য প্রতিনিধিত্ব করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে খাটো করা হচ্ছে। নিয়মিত বৈঠক না হলে পারস্পরিক ভরসায় ঘাটতি দেখা যেতে পারে।   


অমিত মিত্রের (Amit Mitra) কথায়,''সংবিধানের ২৭৯এ অনুচ্ছেদ মেনে তৈরি হয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। তার কর্মপদ্ধতি ঠিক করে ২৭৯এ (৮) অনুচ্ছেদ। 'প্রসিডিওর অ্যান্ড কনডাক্ট অব রেগুলেশন অব দ্য গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স কাউন্সিল'-র ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতি ত্রৈমাসিকে অন্তত একবার বসা উচিত। আপনিও সহমত হবেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে জিএসটি কাউন্সিলে আলোচনা না হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মৌলিক নীতির পরিপন্থী।''    


কী বিষয়গুলি নিয়ে কাউন্সিলে আশু আলোচনা হওয়া দরকার তাও বাতেল দিয়েছেন অমিত মিত্র (Amit Mitra)। তাঁর কথায়,''কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউকে মাথায় না রেখে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার আর্থিক ঘাটতির আশঙ্কা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ ও তার জেরে লকডাউনের জেরে ঘাটতির পরিমাণ আরও বাড়বে। এটা নিশ্চিতভাবে উদ্বেগজনক। তাই আপনাকে অনুরোধ করছি, শীঘ্রই জিএসটি-র ভার্চুয়ার বৈঠক ডাকুন। আলোচনায় সমাধান বেরোতে পারে। আশা করি ভবিষ্যতে ভার্চুয়ালি হলেও প্রতি ত্রৈমাসিকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হবে। 


আরও পড়ুন- 'Mamata-র পথ নির্দেশিকায় শিল্পায়ন,' দায়িত্ব নিয়েই বললেন শিল্পমন্ত্রী Partha