সুতপা সেন: পণ্য ও পরিষেরা কর নিয়ে ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। ৩ মাস ধরে জিএসটি বাবদ রাজ্য সরকারের অংশ কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়া রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।  তাঁর দাবি, জিএসটি-র ভাগ বকেয়া থাকায় আটকে যাচ্ছে রাজ্যের উন্নয়নপ্রকল্প।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমিত মিত্র এদিন বলেন,''সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, জিএসটি ও আয়কর বাবদ রাজ্য থেকে টাকা নিয়ে যায় রাজ্য। তার ৪০ শতাংশ ফেরত দেওয়ার কথা। অথচ ৩ মাস ধরে সেই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের ২২০০ কোটি টাকা বকেয়া। চলতি মাসে ভাগের অর্থ না পাঠালে বকেয়া পৌঁছবে ৩হাজার কোটি টাকায়। ১৮ ডিসেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ব্যাপারটা তুলব।''


দিন কয়েক আগে রাজ্যপাল জিএসটি সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে অমিত মিত্র বলেন,''জিএসটি সংক্রান্ত বিষয়ের নিষ্পত্তি করতে পারে  একমাত্র জিএসটি কাউন্সিল। রাজ্যপালের কোনও এক্তিয়ার নেই। উনি কেন একথা বললেন আমি তা বুঝতে পারছি না!'' 
           


পণ্য ও পরিষেবা করে একটি অন্যতম শর্ত রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। ২০১৫-১৬ সালে রাজ্যগুলির আয়ের ভিত্তিতে প্রতিবছর জিএসটি থেকে ১৪ শতাংশ হারে রোজগার বাড়াতে হবে তাদের। সেই লক্ষ্য পূরণ না হলে ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সে কারণে বিলাসবহুল ও পরিবেশ-বিরোধী পণ্যে অতিরিক্ত সেস বসিয়ে তহবিল তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর  জিএসটি ক্ষতিপূরণ এখনও বকেয়া। কবে পাওয়া যাবে ক্ষতিপূরণ? তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কেন? আসল ব্যাপারটা হল, দেশে আর্থিক টালমাটালের জেরে সেস বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থই ওঠেনি। তার জেরে ক্ষতিপূরণের অর্থ মেটানো সম্ভব হয়নি বলে মত অভিজ্ঞমহলের।


আরও পড়ুন- "কোন যুক্তিতে SC-ST বিল আটকালেন রাজ্যপাল, বোধগম্য হল না", পাল্টা তোপ মুখ্যমন্ত্রীর