ওয়েব ডেস্ক : মাথার ওপর বিপুল ঋণের বোঝা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী মরণফাঁদ। এই প্রতিকূলতা নিয়েই আজ রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর প্রথম বাজেটে গ্রামবাংলাতেই নজর দিলেন অমিত মিত্র। ব্যাপক  বরাদ্দ করা হল সামাজিক প্রকল্পগুলিতে। চলতি অর্থবর্ষে সামাজিক প্রকল্পের বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৪৩৪২ কোটি টাকা। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ১০০০০ কোটি টাকা বেশি। পরিকল্পনা খাতে মোট বরাদ্দ ৫৭৯০৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে কৃষি, কৃষিবিপণন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের মতো ক্ষেত্রগুলিতে বাজেট বরাদ্দ ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আগামী অর্থবর্ষে সরকার ২২ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বলে বাজেট পেশ করতে গিয়ে জানান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাশাপাশি বাজেটে এক পয়সাও অতিরিক্ত কর না বসিয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। চলতি অর্থবর্ষের শেষে রাজ্যের নিজস্ব করের লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ৫০৭৭৩ কোটি টাকা। কোনপথে আসবে বাড়তি রাজস্ব? অর্থ দফতরের পেশ করা হিসেব বলছে, স্ট্যাম্প ডিউটি, আবগারি শিল্প এবং সেলস ট্যাক্স থেকে ৬৮০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় বাড়ানোর কথা ধরা হয়েছে।


সেলস ট্যাক্স থেকে ৫৪৫৪ কোটি টাকা বাড়তি আদায়ের লক্ষ্য রাখা হয়েছে।


আবগারি শিল্প থেকে ৭১৭ কোটি টাকা বাড়তি কর আদায়ের আশা করছে রাজ্য।


স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন থেকে আসবে বাড়তি ৭৯৩ কোটি টাকা, আশা রাজ্যের।


অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ে প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স। অর্থমন্ত্রী এই আয় করেছেন বাড়তি কর না বসিয়েই। শুধুমাত্র কর ব্যবস্থার সরলীকরণ ও ই-রিটার্নের মাধ্যমে। করদানে উত্‍সাহ দিতে কর ব্যবস্থায় আরও সরলীকরণ করলেন অর্থমন্ত্রী।


নিম্ন আয়ের শ্রেণির জন্য বৃত্তিকর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে হল ১০০০০ টাকা।


একলক্ষ টাকা পর্যন্ত অনাদায়ী করে মামলা করবে না রাজ্য, উপকৃত হবেন ছোট ব্যবসায়ীরা।


করদাতাদের সুবিধায় এবার অনলাইনেই পাওয়া যাবে টিডিএস ফর্ম।


চা শিল্পে আরও একবছর গ্রামীণ শিক্ষা ও উন্নয়ন শিক্ষা সেস-এ ছাড়।


আপীল মামলার নিষ্পত্তির সময়সীমা ১ বছর থেকে কমে ৬ মাস।


ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নে আরও ৩ বছর সহযোগিতা দেবে রাজ্য।


আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় আনা, ব্যবস্থার সরলীকরণ, স্বচ্ছতা ও ই-রিটার্ন। আয় বাড়াতে এগুলিই হাতিয়ার অমিত মিত্রের। অর্থনীতিবিদদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, একটু উঁচুতেই লক্ষ্যস্থির করেছেন অর্থমন্ত্রী। গত অর্থবর্ষে লক্ষ্যে পৌছতে পারেননি তিনি। এবার কি পারবেন?