নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৩টি আসন টার্গেট করেছিল বিজেপি। লক্ষ্যে না পৌঁছতে পারলেও ১৮টি আসন নিয়ে শাসক দলের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। অপ্রত্যাশিক উত্থানেও ঢিল দিতে নারাজ মোদী-শাহ। আগামী ৩০ জুন জরুরি বৈঠক ডাকলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তলব করা হয়েছে রাজ্যের পদাধিকারী ও সাংসদদের। থাকবেন মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিমবঙ্গে জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। স্বাধীনতার পর প্রথমবার বাংলায় গেরুয়া সাম্রাজ্য বিস্তার সম্ভব বলে মনে করছেন দিল্লির নেতারা। লোকসভা ভোটের সাফল্যের পর সময় নষ্ট করতে নারাজ মোদী-শাহ। মিশন ২০২১-এর জন্য রণনীতি এখন থেকে তৈরি করতে চাইছেন তাঁরা। সে কারণে রাজ্যের সাংগঠনিক রিপোর্ট নিতে ৩০ জুন জরুরি বৈঠক ডাকলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, দিল্লির বৈঠকে ডাকা হয়েছে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকরা, ১৮ জন সাংসদ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। 



লোকসভা ভোটের পর বিজেপির দিকে হাওয়া রাজ্যজুড়ে। বিধায়ক, কাউন্সিলররা তো বটেই নিচুতলাতেও শিবির বদল চলছে। এমতাবস্থায় পুরনো ও নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বহু জায়গায়। ১৮টি আসন পেলেও রাজ্যে সংগঠন এখনও বেশ নড়বড়ে। হাওয়া ধরে রেখে সংগঠনকে আরও পোক্ত করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। সূত্রের খবর, নতুন-পুরনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও মনিরুল ইসলামের মতো বিতর্ক এড়াতে দিক নির্দেশিকা তৈরি করে দেবেন মোদীর সেনাপতি। রাজ্যে বিজেপির সদস্যপদ আরও বাড়ানোর উপরেও জোর দিতে চাইছে বিজেপি। বুথস্তরে সংগঠন তৈরি করতে সদস্যপদ সংগ্রহের কর্মসূচি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলেও সূ্ত্রের খবর।                    


সামনে কলকাতা-সহ একাধিক পুরসভায় ভোট। বিশেষ করে কলকাতা পুরসভার দিকে তাকিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২০ সালে কলকাতা পুরভোটের কথা মাথায় রেখে এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে গেরুয়া ব্রিগেড। বিজেপি সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার দখল নিতে পারলে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা খাবে। সেই সুযোগটাই ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। 


আরও পড়ুন- রেশনে ২টাকা কিলো চালে দুর্নীতি রোধে চাপ মোদীর, তড়িঘড়ি পদক্ষেপ রাজ্যের