নিজস্ব প্রতিবেদন: অমিত শার উপস্থিতিতে নষ্ট হয়েছে শহিদ মিনারের পবিত্রতা। এই অভিযোগ তুলে প্রতীকী আন্দোলনে এসএফআই ও ছাত্র পরিষদ। দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা আজ শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি নিয়ে শহিদ মিনারে উপস্থিত হন। সাবান জল ও কস্টিক সোডা দিয়ে বেদী ধুয়ে দেন তাঁরা। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসএফআই ও ছাত্র পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, অমিত শার হাত-পা রক্তে রাঙানো। তাই তাঁর উপস্থিতিতে ক্ষুণ্ণ হয়েছে শহিদ মিনারের গরিমা। রবিবার অমিত শাহ সভা করে যাওয়া পর শুরু হল শহিদ মিনারের শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'দিল্লির ঘরহারা মানুষকে আশ্রয় দেবে বাংলা' মঞ্চ থেকে আহ্বান মমতার


১৮২৮ সালে তৈরি শহিদ মিনার আগে অক্টরলুনি মনুমেন্ট নামে পরিচিত ছিল। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন ডেভিড অক্টরলুনি। ১৮০৪ সালে দিল্লিতে মারাঠা আক্রমণ প্রতিহত করেন তিনি। ইঙ্গো-নেপালি যুদ্ধে গোর্খাদের হারাতে অক্টরলুনির সশস্ত্র বাহিনী বড় ভূমিকা নেয়। দুই বড় যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অক্টরলুনির স্মৃতিতে মনুমেন্ট নির্মিত হয়। 


১৯৬৯ সালের ৯ অগাস্ট অক্টরলুনি মনুমেন্ট ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে শহিদদের উদ্দেশ্যে উত্‍সর্গ করা হয়। নাম বদলে হয় শহিদ মিনার। তারপর থেকে এই ঐতিহাসিক সৌধের গরিমা বেড়ে যায়। আগে যা ছিল ঔপনিবেশিক শক্তির প্রতীক, পরে সেটাই বদলে হয় স্বাধীনতার সেনানীদের আত্মবলিদানের অভিজ্ঞান। SFI ও ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বক্তব্য, এমন স্থানে কোনও ভাবেই অমিত শার উপস্থিতি মানা যায় না।