নিজস্ব প্রতিবেদন : আনন্দপুর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জাল গুটিয়ে আনার পথে পুলিস। ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত হোটেলকর্মী আশিস যাদবকে জেরা করে নোনাডাঙা থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও একটি বস্তাবন্দি দেহ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, দেহটি অর্চনার প্রেমিক বলরামেরই। তবে, দেহটি পচে গলে অত্যন্ত বিকৃত হয়ে যাওয়ায় সেটির শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি। দেহ শনাক্তকরণের জন্য ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত বলরামের পরিবারকে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিস। তাঁরা এসে রবিবার দেহটি শনাক্ত করার পরই নোনাডাঙায় উদ্ধার হওয়া দেহটি বলরামের-ই কিনা, তা নিশ্চিত করে জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৭ সেপ্টেম্বর মোবাইল সারানোর নামে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান অর্চনা। ৩ দিন পর চৌবাগা লকগেটে গৃহবধূ অর্চনার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে আনন্দপুর থানার পুলিস। খুনের ঘটনায়, প্রথম থেকেই সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে অর্চনার প্রেমিক বলরামের উপর। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন বলে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিস। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল বলরাম। শেষে বলরামের ফোনের কললিস্ট ঘেঁটেই মেলে খূনের সূত্র। সেই সূত্র ধরে ধর্মতলার হোটেলকর্মী আশিস যাদবকে এদিন সকালে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।


ধৃতকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, মৃত্যুর আগে ৬এ এস এন ব্যানার্জি রোডে অবস্থিত হোটেল আতলান্তিকে প্রেমিক বলরামের সঙ্গে উঠেছিলেন অর্চনা। বিগত কয়েক মাস ধরেই ওই হোটেলে আসা যাওয়া ছিল যুগলের। ওই হোটেলেরই অস্থায়ী কর্মী আশিস। জেরায় আশিস জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে উঠেছিলেন অর্চনা ও বলরাম। কিন্তু পরদিন সকালে জলখাবার দেওয়ার জন্য ডাকতে গেলে কোনও সাড়া মেলেনি। বেশ খানিকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও সাড়া না মেলায় 'মাস্টার কি' দিয়ে খোলা হয় ঘরের দরজা। বিছানার উপর থেকে উদ্ধার হয় অর্চনা ও বলরামের দেহ।


আরও পড়ুন, মন মতো জন্মদিন পালন হল না! অভিমানে শুভদিনেই আত্মঘাতী কিশোরী


এরপরই হোটেলের বদনাম এড়াতে প্রমাণ লোপাটের জন্য যুগলের দেহ সরিয়ে ফেলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনের কাছে উদ্ধার হয়েছিল গৃহবধূ অর্চনার বস্তবন্দি দেহ। ঠিক তার অদূরেই নোনাডাঙায় উদ্ধার হল আরও একটি বস্তাবন্দি দেহ। একই কায়দায় একইরকমভাবে উদ্ধার হয়েছে এই দ্বিতীয় দেহটি। পুলিস জানিয়েছে, একই প্রিন্টের কম্বল দিয়ে জড়ানো ছিল দেহ। বস্তাও বাঁধা ছিল একই রঙের নাইলনের দড়ি দিয়ে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। এখন ঝাড়খণ্ড থেকে বলরামের পরিবারের কলকাতায় এসে দেহ শনাক্তকরণের অপেক্ষা।