নিজস্ব প্রতিবেদন:  আফগনিস্থান ও পাকিস্তানের জঙ্গিদের কাছ থেকে বিস্ফোরণের ট্রেনিং নিয়েছিল কলকাতায় ধৃত আল কায়দা সদস্য সামসাদ মিঞা ওরফে তনভির। জেরায় বেরিয়ে এল এমনই বিস্ফোরক তথ্য। মঙ্গলবার কলকতা স্টেশন থেকে এসটিএফ  গ্রেফতার করে রিয়াজুল ইসলাম ও মনতোষ দে নামে আরও দু’জনকে। মনতোষের কাছ থকে অস্ত্র কিনতে তনভির ও রিয়াজুল কলকাতায় এসেছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশি ব্লগারদের খুনের চক্রান্ত করছিল এই দুই জঙ্গি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেরায় প্রকাশ, সামসাদ ও রিয়াজুল পটনা, রাঁচি, হায়দরাবাদ ও পুনেয় ‌যাতায়াত করতো। পুলিস সূত্রে জানা ‌যাচ্ছে হায়দরাবাদে ১ বছর ছিল তারা। সেখানে একটি কসাইখানায় কাজ করতো দুই জঙ্গি। তনভির ছিল আনসার উল বাংলা-র বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। পাকিস্তানি জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। বাংলাদেশে গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভারতে পালিয়ে এসেছিল তারা। বাংলাদেশে আল কায়দার সহযোগী সংগঠন আনসার উল বাংলার সদস্যদের জন্য ইতিমধ্যে প্রচুর অস্ত্র পাচার করেছে তারা।


২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আল কায়দার  শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় আনসার উল বাংলার নেতা মেজর জিয়ার। তার পর থেকেই বাংলাদেশে তাদের শিকড় গাড়তে শুরু করে আনসার। এক সময় তালিবান-এর সদস্য ছিল মেজর জিয়া। বর্তমানে আনসার-এর ৮টি শাখা রয়েছে। এর একটি শাখার প্রধান হল তনভির। অস্ত্র কেনার জন্যই মনতোষের সঙ্গে কলকাতা স্টেশনে দেখা করে সামসাদ ও রিয়াজুল। সামসাদের বাড়ি সিলেটে। অন্যদিকে রিয়াজ খুলনার বাসিন্দা।


সামসাদ মিঞা ওরফে তনভির ও রিয়াজের কাছ থেকে আল কায়দার পুস্তিকা, বিস্ফোরক তৈরির বই, ল্যাপটপ, জাল আধার কার্ড, জাল প্যান কার্ড উদ্ধার করেছে এসটিএফ। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশি মুক্তমনাদের খুনের চক্রান্ত করেছিল তারা। নজরে ছিলেন সানিউর রহমানের মতো ব্লগাররা। পাশাপাশি খুলনার ব্লগার সাদিক ফারুককে খুনেরও তারা ছক কষেছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডাইরি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওইসব তথ্য।আরও পড়ুন-অবশেষে বঙ্গে শীতের 'বাইট', এক লাফে পারদ নামল ৫ ডিগ্রি