পিয়ালি মিত্র: কত সম্পত্তির মালিক হতে পারেন পুলিসের একজন কনস্টেবল? রামপুরহাটে গ্রেফতার কনস্টেবল মনোজিত্ বাগিশ বান্ধবীকে দিয়েছিলেন ১১ লাখ টাকা দামের গাড়ি, এরপরও ব্যাঙ্কে রয়েছে বিপুল টাকা। তার আরও সম্পত্তির খোঁজে দুর্নীতি দমন শাখা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আধারের তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, প্রতারণা রুখতে নির্দেশিকা জারি কলকাতা পুলিসের


বারুইপুরে পৈত্রিক বাড়ি মনোজিতের। সেই বাড়ির চেহারা দেখলে বোঝা যায় বেশ মোটা টাকা খরচ করে দাঁড় করানো হয়েছে দোতলা বাড়িটি।  স্থানীয়দের দাবি, ২০১৭ সালের পর বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে রয়েছে ৩টি এসি, সিসিটিভির নজরদারি। ২০৯৭ সাল নাগাদ পুলিসের কনস্টেবলের পদে যোগ দেন মনোজিত্। বর্তমানে বেতনের সবকিছু কেটেকুটে ৪৫ হাজার টাকা হাতে পান। এরকম একজন আয়ের মানুষের যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে তা একেবারে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো। ২০২২ সালে মনোজিতের বিরুদ্ধে এসবিতে অভিযোগ জমা পড়ে।


পুলিস সূত্রে খবর, এখনওপর্যন্ত ৭৬ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে মনোজিতের। এলআইসিতে রয়েছে ১০ লাখ টাকা। ১১ লাখ টাকা দিয়ে একটি গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন বান্ধবীকে। এরপরও তার কোথায় কোনও সম্পত্তি রয়েছে কিনা তা খুঁজে করছে পুলিস। একসময় হাওড়া গ্রামীণ পুলিস, তারপর হাওড়া সিটি পুলিসে ছিলেন মনোজিত্। এরপর রামপুরহাট থানায় বদলি হয়ে যান। এখন এই ক'বছরে যে বিপুল সম্পত্তি তিনি করেছে তা চাকরির সুবাদে অনৈতিক উপায়েই করেছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গতকালই মনোজিতকে আদালতে তোলা হয়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন শাখা প্রথমে মনোজিতে ৪ বছরের সম্পত্তির হিসেব করতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে দেখা যায় আয় বহির্ভূত সম্ত্তির পরিমাণ ৪৫ লাখ টাকা। পরে দেখা যায় ওই সম্পত্তির পরিমাণ আরও বেশি। মনোজিতের এক প্রতিবেশী জানান এটা ওর পৈত্রিক বাড়ি, ২০১৭ সালে মডিফাই করে এরকম করা হয়েছে। অন্য এক প্রতিবেশী জানান, বাড়িটি একতলা ছিল। পরে তা বাড়ানো হয়েছে। এরপর ও কী সম্পত্তি করেছে বলাতে পারবে না। দেখি একটা স্করপিও চড়ে বেড়ায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)