Aadhaar Fraud: আধারের তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, প্রতারণা রুখতে নির্দেশিকা জারি কলকাতা পুলিসের
Aadhaar Fraud: আ্য়াকাউন্ট থেকে টাকা চলে গেলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাঙ্কে গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে। ব্য়াঙ্ক স্টেটমেন্ট নিয়ে তা দিয়ে ব্যাঙ্কে হারানো টাকা ফেরতের আবেদন করতে হবে। অবশ্যই পুলিসে এফআইআর করতে হবে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জেলা থেকে শহর, একের পর আসছে খবর। ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে মানুষের জমানো টাকা। জানতেই পারছেন না গ্রাহকরা। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইলে এসএসএস আসছে না। ফলে গ্রাহক বুঝতেই পারছেন না কত টাকা গিয়েছে। হয়তো আপনি কোনও এসএসএস পেলেন যে আপনার টাকা চলে গিয়েছে। এবার আপনি ব্যাঙ্কে গিয়ে পাসবই আপডেট করে দেখলেন কয়েক মাস ধরে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয়েছে আপনার টাকা। বলা হচ্ছে আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করেই এই প্রতারণা করছে হ্যাকাররা। এই প্রতারণা ঠেকাতে কিছু নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিস।
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই ৩ লাখ টাকা ঋণ, জন্মদিনে কল্পতরু মোদী
নতুন ধরনের এই জালিয়াতি করা হচ্ছে আধারের বায়োমেট্রিককে হাতিয়ার করে। এর জন্য প্রতারকরা কাজে লাগাচ্ছে AEPS অর্থাত্ আধার এনাবলড পেমেন্ট সিস্টেম। এতে ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্লোন করে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। তাই কলকাতা পুলিসের পরামর্শ যত দ্রুত সম্ভব আধারের বায়োমেট্রিক লিঙ্ক ব্লক করে দিন। এর জন্য মোবাইলে mAadhaar অ্যাপ ডাউনোড নামাতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আধার কার্ডটি বের করলেই দেখতে পাবেন নীচের দিকে দেখা যাবে বায়োমেট্রিক লিঙ্ক। সেটিতে ট্যাপ করে তা ব্লক করে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে বায়োমেট্রিক লক, আধার লক নয়।
আ্য়াকাউন্ট থেকে টাকা চলে গেলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাঙ্কে গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে। ব্য়াঙ্ক স্টেটমেন্ট নিয়ে তা দিয়ে ব্যাঙ্কে হারানো টাকা ফেরতের আবেদন করতে হবে। অবশ্যই পুলিসে এফআইআর করতে হবে। কলকাতা পুলিসের পরামর্শ, আধার কার্ড দেওয়ার সময়ে আধার নম্বর মাস্ক করে দিতে হবে। এতে আধারের শেষ চারটি নম্বরই দেখা যাবে। এইপিএস-এ লেনদেন করতে না চাইলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগ করার দরকার নেই। কারণ না জেনে একই প্লাটফর্মে একাধিকবার আধার নম্বর দেবেন না। বায়োমেট্রিক দেওয়ার সময়ে ভেজা বা তৈলাক্ত অবস্থায় আঙুলের ছাপ দেবেন না।