নিজস্ব প্রতিবেদন: যুক্তি ও তথ্য দিয়ে বক্তব্য রাখব। চাইলে তথ্য দিয়ে খণ্ডন করতে পারেন। বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট নিয়ে বিধানসভার বিতর্কে এভাবেই শুরুটা করলেন বিজেপির 'ওপেনিং ব্যাটসম্যান' অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ি (Ashok Lahiri)। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বালুরঘাটের বিধায়ক জানান,'আমি খুশি ওঁরা বাধা দেননি।' রাজ্যের ৪৭টির মতো সামাজিক প্রকল্পের উপভোক্তার তালিকা প্রকাশ করার দাবি করেন। রাজ্যের অবস্থা বোঝাতে পরিযায়ী শ্রমিক, পড়াশুনোর জন্য ভিনরাজ্যের প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসার জন্য ভেলোর যাত্রার প্রসঙ্গ তোলেন অশোক লাহিড়ি (Ashok Lahiri)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বহু বছর ধরে রাজ্যের হিসেবের ক্যাগ অডিট করেনি বলে দাবি করেন অশোক লাহিড়ি (Ashok Lahiri)। পশ্চিমবঙ্গ সরকারে সামাজিক প্রকল্পগুলিকে নিয়ে তাঁর টিপ্পনী,'৪৭টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গুনেছি। আরও আছে। ৮টি শ্রী, ৬টি সাথী, অন্তত ৫টি  ধারা, ৩টি বন্ধু, ৩টি স্নেহ দিয়ে প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১৭টি অন্যান্য প্রকল্প। এতগুলি প্রকল্প চালাতে দৈবশক্তি লাগে।' রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে চালানোর অভিযোগ তোলে বিজেপি। সরাসরি সেই অভিযোগ করেননি অশোক লাহিড়ি (Ashok Lahiri)। কৌশলে তিনি বলেন,'অনেকগুলি প্রকল্পই কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থে চলে।' সামাজিক প্রকল্পগুলি যোগ্য মানুষরাই পাচ্ছেন কিনা, তাও জানতে চান অশোক লাহিড়ি। তাঁর কথায়,'উপভোক্তার তালিকা ওয়েবসাইটে পেলাম না। ২০১১ ও ২০১৬ সালে সামাজিক ও আর্থিক জনসুমারি হয়েছে। রাজ্য সরকার তালিকা প্রকাশ করলে স্বচ্ছতা আসবে।'   
 
শুধু সামাজিক প্রকল্প বা ত্রাণ বিলি করলেই উন্নয়ন হবে না। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের সওয়াল করেন অশোক লাহিড়ি (Ashok Lahiri)। তাঁর যুক্তি, শুধু ত্রাণ দিলেই হবে না। পরিত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। নৌকো করে খাবার দিলেই চলবে না। বরং নিকাশি ঠিক করা দরকার। পশ্চিমবঙ্গে মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো গভীর সমুদ্র বন্দর নেই। পরিকাঠামো ও মূলধনী খাতে খরচ বাড়াতে হবে। দুটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে বলেছি। একটা অর্থনৈতিক অবস্থা, বেকারত্ব ও পরিযায়ী শ্রমিক এবং আর একটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি। এখন শিক্ষার জন্য আমরা যাই বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে। চিকিৎসার জন্য ভেলোরে।' 


রাজ্য বাজেট নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রের খামতি তুলে ধরেন তৃণমূল বিধায়করা। অশোক লাহিড়ি (Ashok Lahiri) জবাব দেন,'আমরা লোকসভায় বসে নেই। বিধানসভায় আছি। বিধানসভায় কেন্দ্রের আলোচনা করার অর্থ সময়ের অপব্যয়।' রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রী ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা বাস স্টপে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির প্রসঙ্গ তোলেন বালুরঘাটের বিধায়ক।      


তবে বাম জমানার চেয়ে তৃণমূলের বাজেট যে এগিয়ে তা স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থনীতিবিদ। রাজ্যে প্রাক্তন ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর তুলনায় তিনি বলেন,'অসীম দাশগুপ্ত ও অমিত মিত্র স্বগোত্রের লোক। দু'জনকেই ভালোভাবে চিনি। একই কলেজের। বাজেট তৈরিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাজেট শুধু অর্থমন্ত্রী একা করেন না। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গত দেন। বাম ও তৃণমূল সরকারের মধ্যে বলব যে বাম সরকারের জমানায় যা হয়েছে তার চেয়ে তৃণমূল সরকারের আমলে একটু উন্নতি হয়েছে। একথা বলতে আমি বাধ্য।' 


আরও পড়ুন- ঘোষে ঘোষে সখ্যতা! হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে কি তাই-ই বোঝালেন Saumitra?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)