নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ অষ্টমী। ৪ দিনের পুজোয় অষ্টমীর দিনটি আট থেকে আশি সবার কাছেই খুব স্পেশাল। এখন যদিও কেউ আর ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে না। চতুর্থী, পঞ্চমী থেকেই শুরু হয়ে যায় প্যান্ডেল হপিং। কিন্তু তবুও মহাপুজো মহা আকর্ষণ অষ্টমী-ই। অষ্টমীর পর হাতে থাকে আর একদিন। শুধমাত্র নবমী। তাই অষ্টমীর দিনটা চেটেপুটে পুরোপুরি উপভোগ করতে খামতি থাকে না কারোরই। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, দশমীতে নয়, অষ্টমীতেই সিঁদুরখেলা হাটখোলা দত্তবাড়িতে


সকালে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শুরু। তারপর বেলা বাড়তেই তিথি মেনে সম্পন্ন হয় সন্ধিপুজো। আর তারপর অষ্টমীর দুপুরে খিচুড়ি ভোগ খেয়ে বেরিয়ে পড়া। সূয্যিমামা পশ্চিম দিগন্তে ঢলে পড়ার আগেই শুরু হয়ে যায় পুজো পরিক্রমা। কারোও পছন্দ উত্তর কলকাতার সাবেকিয়ানা, তো কেউ আবার অষ্টমীর রাতে চষে ফেলতে চান দক্ষিণ কলকাতাটা। কারও কারও আবার অষ্টমীতে বিশেষ পছন্দ কোনও রাজবাড়ি বা বনেদি বাড়়ির পুজো।


আরও পড়ুন, কামারপুকুরে কুমারী এবার শ্রী রামকৃষ্ণের বংশধর


বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। অষ্টমীর সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে জনস্রোত। উত্তরে বাগবাজার থেকে দক্ষিণ ম্যাডক্স স্কোয়ার, জমিয়ে আড্ডার মেজাজ সর্বত্র। একডালিয়া এভারগ্রিনে গিয়ে দেখা গেল, সদ্য আঠারোয় পা দেওয়া কয়েকজন কিশোর একেবারে ধুতি, পঞ্জাবিতে সেজে মণ্ডপে হাজির। অষ্টমীকে স্পেশাল করতেই যে ধুতি, সেকথা একবাক্যে স্বীকার করে নিল সবাই।


আরও পড়ুন, ‘কখনো কুমারী সাজতে পারিনি’, দুঃখ কোয়েল মল্লিকের


শুধু কলকাতার পুজো কেন, অষ্টমীর সন্ধ্যায় জেলায় জেলায় মণ্ডপগুলিতেও উপছে পড়া ভিড়। ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ বিদেয় নিয়েছে ষষ্ঠীর আগেই। তবু মনে কিছু শঙ্কা ছিল। কিন্তু সপ্তমীর সকালে ঝকঝকে আকাশ সব আশঙ্কা দূর করে দিয়েছে। আবহাওয়া দফতরও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুজোয় ঝড়-ঝঞ্ঝা, বৃষ্টির আর কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিনও সকাল থেকেই ছিল রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ। পুজোর আনন্দকে তারিয়ে উপভোগ করতে তাই সময় যত গড়াচ্ছে, অষ্টমীর ভিড় তত বাড়ছে।