ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভায় শাসক বিরোধী আক্রমণে জোট বেধে একসুরেই লড়াই চালাচ্ছেন মান্নান-সুজনরা। ভোটের পরেও জোটের ছবিতে কোনও চিড় ধরেনি। এটাই তো ছিল চেনা ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভায় জোট দূরত্ব?
হঠাত্‍ করেই যেন ছন্দপতন। সুর বদল।  বিধানসভার অন্দরেই জোটের ছবিটা যেন কোন ম্যাজিকে উধাও। এতদিন যেখানে সিপিএম-কংগ্রেস বিধায়করা একজোট, মঙ্গলবার সেখানে অন্য ছবি। মূলতুবি প্রস্তাব আলাদা করে আনল সিপিএম ও কংগ্রেস । 


কেন্দ্রীয় কমিটির এফেক্ট?
সোমবারের সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের লাইন খারিজ করে দিয়েছে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি। কারাট লবির তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয় জোটপন্থী নেতাদের। শেষমেষ জোট লাইনকে খারিজেরই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।


মঙ্গলবারই একে গোপালন ভবনের বৈঠকের সিদ্ধান্তের রেশ পড়েছে বিধানসভার অন্দরেও। মূলতুবি প্রস্তাব আলাদা করে আনা থেকে সবেতেই কেমন যেন দূরত্ব বজায়ের চেষ্টা। কংগ্রেস যদিও জোট থেকে তাদের হাত এখনই তুলতে রাজি নয়। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের ঘরে ভাঙন নিয়ে যখন রাজ্যরাজনীতিতে জোরজল্পনা তখন কোনও রাখডাক না রেখেই কংগ্রেসকে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়েছে বামেরা। 


রাজনীতিতে পটু নয় এমন মানুষও জানেন ফ্রন্টে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পায় বড় শরিক সিপিএমই। রাজনৈতিক মহলের মতে, শরিক ও সহযোগী দলগুলির চাপেই ফ্রন্টের আন্দোলনে কংগ্রেসকে  দূরে রাখার কৌশল নিয়েছেন বিমানবাবুরা। ফ্রন্টের নীতিতো স্পষ্ট। কিন্তু জোট নিয়ে সিপিএমের অবস্থান কী?


জোট নিয়ে বিধানসভাতেও সিপিএমের ধরি মাছ না ছুঁই পানি মার্কা উত্তর। দূরত্বের ইঙ্গিত। একইদিনে অদ্ভুত সমাপতন ফ্রন্ট নেতৃত্বের ঘোষণাতেও।সেখানেও  কংগ্রেস বয়কটের  ঘোষণা। তবে কী আগামী দিনে কংগ্রেসকে দুরে রেখেই বাংলায় আন্দোলনে নামতে চাইছে সিপিএম থুড়ি বামফ্রন্ট।