পিয়ালি মিত্র: দলের কর্মীদের আগামী একশো দিন নিজের নিজের কেন্দ্রে জনসংযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। অর্থাত্ এবার লোকসভা নির্বাচন সম্ভবত হচ্ছে ওই একশো দিনের মধ্যে। তবে ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে তার আগেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীনভাবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাংলায় দেড়শো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বাড়িতে ইডির হানার পেছনে বিজেপি ছাড়া আর কে, মুখ খুললেন তাপস রায়


সূত্রের খবর ২ দফায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে ৭ মার্চের মধ্যে। রাজ্যে পা দিয়েই এরিয়া ডমিনেশন শুরু করবে বাহিনী। এনিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাজ্যে এর আগে যত নির্বাচন হয়েছে তাতে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার এতটা আগে কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি। পয়লা মার্চের মধ্যে রাজ্যে আসবে একশো কোম্পানি বাহিনী। বাকীটা পরের ধাপে। এখনওপর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে তার মধ্যে রয়েছে বিএসএফের ২০ কোম্পানি, সিআরপিএফের ২০ কোম্পানি, সিআইএসএফের ১০ কোম্পানি, আইটিবিপির ১০ কোম্পানি এবং এসএসপি। অর্থাত্ পয়লা মার্চের মধ্যে রাজ্যে পৌঁছে যাবে ১০০ কোম্পানি বাহিনী। দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চের মধ্যে আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী চলে আসবে রাজ্যে।


ভোটের আগে সাধারণত দেখা যায় এরিয়া ডমিনেশনও ও কনফিডেন্ট বিল্ডিং মেজারস শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন তার জন্য়ই এই ব্যবস্থা করে থাকে কমিশন। এবার একেবারে উল্টো ব্যবস্থা। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করেনি কমিশন। তার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে পাঠানো হেব ১৫০ কোম্পানি বাহিনী। এনিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলিকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।


কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসা নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এরিয়া ডমিনেশনের এমন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের হাল এমন হয়ে গিয়েছে যে এখানে আইনের কোনও শাসন নেই। পুলিস শাহজাহানের দালালি করে। সেই পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে কথা বলেন পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসুরা। এরকম অবস্থায় পুলিসের উপরে ভরসার জায়গা নেই। তৃণমূলের দোষের জন্য সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। কেন্দ্রের বাহিনী এসে গেল মানেই এরিয়া ডমিনেশন হয়ে গেল এমনটা মনে করি না। মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবে, এটা নির্বাচন কমিশনের ম্যানডেট। কত বাহিনী আসল, কবে আসল তার উপরে কিছু নির্ভর করে বলে আমি মনে করি না। নির্ভর করে কীভাবে কমিশন পলিটিক্যাল পার্টিগুলিকে মবিলাইজ করবে।


এনিয়ে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে এই কাজ হচ্ছে। সোজা পথে পেরে না উল্টে একটা দল বারবার পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করছে। বারবার ৩৬৫ ধারা জারি করার দাবি জানাচ্ছে আর বারবার গালে থাপ্পড় খাচ্ছে।  ওই ৩৫৬ জারি করতে না পেরে নাকের বদলে নরুণ। এটাই হ্চছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭৪৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হয়েছিল। যারা বলেছিল, ইস বার ২০০ পার। বাংলার মানুষ তাদের পগারপাড় করে দিয়েছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)