অর্নবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন জটিলতা তৈরি হয়ে গেল এবার। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হতে পারেন হাজার চারেক পরীক্ষার্থী। সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল ১৮ মাসের ডিএলএড প্রশিক্ষণ যারা নিচ্ছেন তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। এবারে সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই


এদিকে ১৮ মাসের ডিএলএডে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা যদি নিয়োগ প্রক্তিয়ায় অংশ না নিতেই পারেন তাহলে তাদের ভবিষ্যত কী? এনিয়ে মামলা উঠেছিল আদালতে। সেই মামলায় আজ বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা জানাতে হবে। আাগামী ৪ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে। সেদিনই পর্ষদকে এনিয়ে স্পষ্ট করে বলতে হবে।


উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ না নিয়েই অনেকে স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। ২০১৭ সালে চাকরিরতদের জন্য ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল (এনআইওএস)-এর মারফত 'ওপেন এন্ড ডিস্ট্যান্স লার্নিং' কোর্স করানো শুরু হয়। চাকরিরতদের জন্য হলেও বহু চাকরিপ্রার্থী সেখান থেকে ১৮ মাসের ডিএলএড কোর্স করেন। তাঁদের অনেকে আবার চাকরি জন্য আবেদনও করেছেন।


গত ২৮ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানায়, নতুন কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না ১৮ মাসের প্রশিক্ষণরতরা। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই পর্ষদকে পদক্ষেপ নিতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন যাঁরা ১৮ মাসের কোর্স করেছেন। আইনজীবীরা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা সুযোগ পাবেন না।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)