নিজস্ব প্রতিবেদন: এটিএম জালিয়াতির আতঙ্ক ফিরল কলকাতায়। দিল্লির এটিএম থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৪৮ ঘণ্টায়  একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করেছে যাদবপুর থানায়। রবিবার মোট ১৪টি এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ে। সোমবার অন্তত ১০  থানায় এসেছেন অভিযোগ জানাতে।


আরও পড়ুন-ধীরে ধীরে নামবে পারদ, চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা কমবে ২-৩ ডিগ্রি


প্রতারিত এক গ্রাহক জি ২৪  ঘণ্টাকে বলেন, রবিবার তার মোবাইলে দুটি এসএমএস আসে। সেখানে লেখা হয় দিল্লি একটি এটিএম থেকে দুবার ১০ হাজার টাকা করে তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই এসএমএস পাওয়ার পরই ব্যাঙ্কের হেল্পলাইনে ফোন করেন তিনি। তাঁকে বলা হয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিকটবর্তি থানায় গিয়ে একটি এফআইআর করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।


উল্লেখ্য, গত বছরও কলকাতায় এটিএম জালিয়াতির একাধিক ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তে করে দেখা যায় বিভিন্ন এটিএমে স্কিমার মেশিন বসিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। যাদবপুরে জালিয়াতির তদন্তে নেমে এলাকার প্রায় সব এটিএম পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।  খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে ওইসব এটিএমে কোনও ডিভিইস বসানো হয়েছে কিনা।  পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, যাদবপুরের ওইসব প্রতারিত গ্রাহকরা কারও সঙ্গে এটিএম পিন বা অন্য কোনও তথ্য আদানপ্রদান করেননি। তার পরেও গায়েব হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা।



আরও পড়ুন-কংগ্রেসের সভায় স্লোগান উঠল ‘প্রিয়ঙ্কা চোপরা জিন্দাবাদ’, তুমুল ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়


তদন্তে নেমে পুলিস এখনও অন্ধকারে। এখনে বোঝা যাচ্ছে না এটিএম সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান না করা সত্বেও কীভাবে টাকা চলে যাচ্ছে। দিল্লি থেকেই কীভাবে তুলে নেওয়া হচ্ছে বিপুল টাকা।  সোমবারও অন্তত ১০ গ্রাহক যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন।  এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের ব্যাঙ্ক ফ্রড সেকশন ও সাইবার ফ্রড সেকশন। তদন্তের জন্য একটি টিমও তৈরি করা হয়েছে। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ফরেন্সিক টিমের। তবে এনিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।