ওয়েব ডেস্ক: সংক্রমক ব্যাধির মতো ছড়াচ্ছে ATM প্রতারণা। বাঘাযতীনের এক বৃদ্ধ প্রতারিত হলেন ATM-এ গিয়ে। স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পাশে স্টেট ব্যাঙ্কের ATM-এ যান প্রতীক চক্রবর্তী নামে ওই প্রবীণ নাগরিক। বৃদ্ধ জানাচ্ছেন, ATM-এ প্রহরী ছিল না। লাইনে ভিড় ছিল। ATM থেকে বারো হাজার টাকা তোলেন তিনি। তারপর বাড়ি ফেরার পর আসতে থাকে একের পর এক টাকা তোলার SMS। বৃদ্ধের দাবি, আঠাশ হাজার টাকা তোলা হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে। তারপর কার্ড থেকে কার্ডে ট্রান্সফার হয় আরও চল্লিশ হাজার টাকা। যাদবপুর থানায় গিয়ে বৃদ্ধ জানতে পারে তাঁর কার্ড ক্লোন করা হয়েছে। অর্থাত্‍ কার্ডের খাপটি তাঁরই। কিন্তু, ভিতরের কার্ড বদলে গিয়েছে।


আরও পড়ুন- যে অ্যাপ ইনস্টল করলে বাঁচা যাবে এটিএম প্রতারণা থেকে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একেই বোধ হয় বলে বিনা মেঘে বজ্রপাত! স্যালারি অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে মাথায় হাত তেঘরিয়ার স্কুল শিক্ষিকা সুস্মিতা দাসের। সেখান থেকে গায়েব সাড়ে বিরাশি হাজার টাকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও।


সুরক্ষিত নয় ডেবিট কার্ড। সারা দেশের বত্রিশ লক্ষ ডেবিট কার্ডের তথ্য চলে গিয়েছে জালিয়াতদের হাতে। এসব খবর  আসছিলই। এরইমধ্যে জালিয়াতি এসে পড়ল একেবারে ঘরের কাছে।  ATM জালিয়াতির খপ্পরে পড়লেন উলুবেড়িয়ায় এক শিক্ষিকা। শুক্রবার টিভিতে ATM জালিয়াতির খবর দেখে আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি সুস্মিতা দাস।


আরও পড়ুন- ATM কার্ড জালিয়াতি রুখতে অবশ্যই এগুলো করুন


SBI -তে তার স্যালারি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স চেক করতে গিয়ে প্রথমে এক হাজার টাকা তোলেন তিনি। আর তার পরেই তাঁর মাথায় হাত।
 
পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতারিত শিক্ষিকা। এসবিআই কর্তৃপক্ষও তাঁর অভিযোগটি খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু কোথায় গেল এই টাকা। কারাই বা তুলে নিয়ে গেল ভেবে কূল পাচ্ছেন না সুস্মিতা দাস।


ব্লক হয়ে যেতে পারে ডেবিট কার্ড। এখনই দিতে হবে পিন নম্বর। ফোন এসেছিল বালি হল্টের প্রৌঢ়া শিখা মুখার্জির কাছে। ভয় পেয়ে তিনি পিন নম্বর বলেও দেন। আর তারপরেই তাঁর এসবিআইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব প্রায় পয়ত্রিশ হাজার টাকা।



বালি হল্ট
প্রতারিত
শিখা মুখার্জি
অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী

অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী শিখা মুখার্জি। হঠাত্ই করেই বারবার তাঁর কাছে ফোন। বলা হয়, SBI  থেকে বলা হচ্ছে। তাঁর ডেবিট কার্ড ব্লক হয়ে গেছে। এখনই তাঁর পিন নম্বর, আধার কার্ড নম্বর দিতে হবে।
চারদিকে ATM  কার্ড জালিয়াতির আতঙ্ক। তাই বারবার এরকম ফোন পেয়ে বিব্রত শিখা মুখার্জি বলেই দেন তাঁর SBI অ্যাকাউন্টের  পিন নম্বর।
তার তার পরেই তার অ্যাকউন্ট ফাঁকা!


কারা শিখা মুখার্জির টাকা হাতিয়ে নিল তা তদন্ত করছে হাওড়া কমিশনারেট। বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করছেন, কাউকে পিন নম্বর দেবেন না। ব্যাঙ্ক থেকে ফোন এসেছে বললেও না। কারণ তাহলেই সর্বস্ব হারাতে পারেন আপনি। তাই সাবধান হোন।