জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে টালা থানার ওসিকে আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। প্রায় ৭ ঘন্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, RG Kar Incident: ভিডিয়োগ্রাফির দাবি ছেড়ে দিয়েছিলাম; ওরাই রাজি হননি, কালীঘাটের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর দাবি ডাক্তারদের


সিবিআই সূত্রে খবর, টালা থানার ওসি ভিন্ন ভিন্ন বয়ান দিচ্ছেন। এর আগে ৬ বার অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করেছিল সিবিআই। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের পরে অপসারিত করা হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমান লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই টালা থানার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার। এফআইআর দায়ের হওয়া নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। এই ওসির গাফিলতির অভিযোগ করেন আইনজীবীরাও। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল পরবর্তী শুনানিতে ওই ওসিকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।


এরপরেই গত ৫ সেপ্টেম্বর 'বুকে ব্যথা'র কথা বলে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হতে যান অভিজিৎ বাবু। কিন্তু হাফ ডজন হাসপাতাল ওনাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে ভবানীপুরের এক হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। তারপর থেকেই প্রশ্ন ওঠে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা এড়াতেই কি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন? অন্যদিকে, একই মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও। সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবারই আলিপুর আদালতে তোলা হবে অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষকেও।   


আরও পড়ুন, R G Kar Incident: ষড়যন্ত্র করে দেরিতে এইআইআর, এবার ধর্ষণ-খুনের মামলায় গ্রেফতার সন্দীপ


উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে৷ এরপর এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। সেই সময় হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তের পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতিরও তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। একটানা প্রায় ১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের পর এবার ধর্ষণ ও খুন মামলাতেও গ্রেফতার হলেন তিনি।  



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)