নিজস্ব প্রতিবেদন : 'ছেলে দোষী,' বলছেন মা। আনন্দপুরকাণ্ডে অভিষেক পান্ডে দোষী বলে স্বীকার করে নিলেন তাঁর মা। তিনি জানান, রবিবার বেলা ১১টায় শেষবার ছেলেকে দেখেছিলেন তিনি। সেইসময় বাড়ির কাছে একটি গাড়ি পার্কিং কোর্টে এসেছিল অভিষেক পান্ডে। কিন্তু তখন তার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নজরে আসেনি। সম্পূর্ণ  স্বাভাবিক ছিল। গায়ে একটা আঁচড়ও ছিল না। কিন্তু তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় সে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, ঘটনার পর আড়াইদিন হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও অধরা অভিষেক পান্ডে। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। আনন্দপুর নিগ্রহকাণ্ডে তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, নির্যাতিতা অভিযুক্তের নাম প্রথমে অমিতাভ বসু বললেও, তার নাম সেটা নয়। তার আসল নাম অভিষেক পান্ডে। আর তাদের দীর্ঘ ৫ বছরের পূর্ব পরিচয় রয়েছে। পাশাপাশি পুলিস আরও জানতে পারে, বছর তিনেক আগে অভিষেক পান্ডের বিয়ে হয়েছিল। দু-এক বছর সংসারও করেছিল। কিন্তু তারপর ডিভোর্স হয়ে যায়। স্ত্রীর ওপর অভিষেক নানাভাবে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। যখন তখন বিভিন্ন মহিলাকে ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল অভিষেক। স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আগে থেকেই নির্যাতিতার সঙ্গে আলাপ ছিল অভিষেকের।


এমনকি, নির্যাতিতা ও অভিষেক একসময় সহকর্মী ছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিস। নির্যাতিতার আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, অভিষেক পান্ডে মাঝেমধ্যেই এই ফ্ল্যাটে আসতেন। এই মুহূর্তে ফ্ল্যাটের ভেতর নির্যাতিতার এক আত্মীয় থাকলেও তিনি অবশ্য এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। প্রশ্ন উঠছে, অভিষেক পান্ডের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় থাকা সত্ত্বেও কেন মিথ্যে নাম বললেন নির্যাতিতা? কেনইবা পূর্ব পরিচয়ের কথা গোপন করে গেলেন তিনি? নির্যাতিতা তরুণী কেন সত্যি কোথা লোকালেন, সেই রহস্য উদ্ঘাটনে অভিযুক্তের মা-এর সঙ্গে বসিয়ে নির্যাতিতাকে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে লালবাজারের। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, আজ গাড়ির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর গাড়ির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে।


আরও পড়ুন, পুজোর আগেই চূড়ান্ত চার্জশিট! সারদা মামলার সাক্ষী IPS-সহ প্রাক্তন প্রভাশালী তৃণমূল নেতা