কলকাতা : ভোট মানেই দাদাদের দাপাদাপি। বন্দর এলাকার চেনা ছবি এটাই।  কিন্তু এবার ভোটে অন্য ছবি দেখল কলকাতার স্পর্শকাতর এই কেন্দ্র। তথাকথিত ডনদের দেখাই গেল না। সবাই কাটালেন ঘরবন্দি হয়ে। পুলিসের নির্দেশে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৮৪-তে তত্কালীন ডিসি বিনোদ মেহতা খুন কিংবা ২০১৩-য় কলেজ নির্বাচনকে ঘিরে কনস্টেবল তাপস চৌধুরী হত্যা। বন্দর মানেই ক্ষমতার আস্ফালন, এলাকা দখলে  রাখার লড়াই। এবার ভোটেও বন্দর এলাকার মূল সমীকরণ সেটাই। কিন্তু পুলিসি দাপটে চিত্রটা গেল বদলে।  মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ভোট দেখল বন্দর ।


এলাকার  ডনদের আগেভাগেই  সতর্ক করেছিল পুলিস। ভোটের দিন ভোট দেওয়া ছাড়া বাকি সব দাপাদাপি বন্ধ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় সেকথা। সরকারিভাবে নজরবন্দি করা হয়নি ঠিকই। কিন্তু দিনভরই নজরদারি চলেছে বন্দরের দাদাদের ওপর।


মোক্তার, মুন্না কিম্বা রহমত। বন্দরে ভোট এলেই যাঁরা সক্রিয় হয়ে উঠতেন। এবার ভোটে তাঁদের দিন কাটাতে হল চার দেওয়ালের ভিতর। ভোট করানো দূরের কথা, ঘরের বাইরে দেখা মিলল স্রেফ ভোট দিতে।


কাউন্সিলর রহমাত আনসারি কাটালেন ঘরোয়া পরবে।  কিন্তু ভোট দিতে বাড়ির বাইরে পা দিতেই গণ্ডগোল। লিচুবাগানে সিপিএম কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল রহমাতের বিরুদ্ধেই। পত্রপাঠ অভিযোগ খারিজ করলেন রহমত।


ভোট চলছে।  আর তাপস চৌধুরী হত্যায় ইকবাল ওরফে  মুন্না কাটালেন বিরিয়ানি রেঁধে।  বেলা গড়াতে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন ফিরহাদ হাকিম।


বন্দর কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিট চেয়েছিলেন মোক্তার । পাননি। শেষপর্যন্ত প্রার্থীকে মেনে নেবেন কিনা, সেই প্রশ্ন ছিলই। কিন্তু দলীয় প্রার্থীদের বন্দর ও মেটিয়াবুরুজে জোট প্রার্থীকে ভোট দিতে বললেন। আর নিজে ঘরে ফিরলেন ভোটটি দিয়েই।