ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র  বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার ওপর স্থগিতাদেশ  দিল কলকাতা হাইকোর্ট।  আপাতত ৬ সপ্তাহ পুলিস বাবুলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করতে পারবে না। তবে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য বিচারপতি বাবুল সুপ্রিয়ের সমালোচনাও করেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহুয়া মৈত্রের অভিযোগ,  একটি  টেলিভিশন চ্যানেলে  তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বাবুল। বাবুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ৪ ঠা জানুয়ারি আলিপুর থানায় fIR করেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫০৯  ধারা অর্থাত্‍ মহিলাদের সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিস। এরপরেই আলিপুর থানা একাধিকবার ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির  ৪১ এর এ ধারায়  অনুযায়ী একাধিকবার বাবলুকে তলব করে। বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায়কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়  থানায় হাজিরা দিতে পারেন নি। এরপর  মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে বাবুল সুপ্রিয় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সোমবার সেই মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে।  দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর গ্রেফতারি পরোয়ানার ওপর  ৬ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।


তবে তাঁর মন্তব্যের জন্য বিচারপতি এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সমালোচনাও করেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এদিন বলেন, বাবুলের ব্যবহূত শব্দের মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ রয়েছে। এটা একটা ভয়ঙ্কর শব্দ। একজন জনপ্রতিনিধি কী এই ব্যবহার করতে পারেন? 


এদিকে আদালতের ওপর তাঁর ভরসা আছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। সবমিলিয়ে হাইকোর্টের মৃদু সমালোচনা বাদ দিলে এই মামলায় দ্বিতীয় রাউন্ডে অ্যাডভান্টেজ বাবুল সুপ্রিয়েরই।